এই বার্সাকেই চেয়েছিলেন সিমিওনে

হঠাৎ ফর্ম হারিয়ে ফেলা, তার ওপর আজকের বাঁচা-মরার ম্যাচের চাপ!
কিন্তু অনুশীলনে নেইমার ও দানি আলভেজের দুষ্টুমি দেখে কে বলবে,
ওসব তাঁদের ভাবনায় আছে?
বার্সেলোনাকে এই অবস্থায় পাবেন, গত সপ্তাহের আগেও নিশ্চয়ই ভাবেননি ডিয়েগো সিমিওনে। যে দলটা টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত থেকে উড়ছিল, তারাই কিনা লা লিগায় পরপর দুই ম্যাচে হেরে বসল! আজ যখন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচের জয় ছাড়া উপায় নেই, একটু বিপর্যস্ত এই বার্সেলোনাকেই মনে মনে চেয়েছিলেন সিমিওনে। লুইস এনরিকেকে এখন অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হচ্ছে। ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম বার্সা কোচের লিগে পরপর দুই ম্যাচে পরাজয়ের অভিজ্ঞতা হলো। লিওনেল মেসিও ৩৬২ মিনিট ধরে গোলহীন, সেটাও একটু উদ্বেগের ব্যাপার। এনরিকে দলের সবাইকে যেন একটু তাতিয়েই দিতে চাইলেন, ‘ক্ষমা চাওয়া বা অজুহাত দেওয়ার কোনো সুযোগ আর নেই, আমাদের এখন ফল চাই। আগে কী হয়েছে, সেটা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমরা খারাপ সময়ে আছি—এটা ভুলে যেতে হবে।’ ‘খারাপ সময়ের’ কিছুটা দায় এনরিকের ওপরও বর্তায়। চ্যাম্পিয়নস লিগের কথা ভেবেই সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ইনিয়েস্তা, রাকিতিচদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা বুমেরাং হয়েই এসেছে। ওই দুজন তো আজ থাকবেনই, ওই ম্যাচে নিষিদ্ধ সুয়ারেজেরও আজ নামার কথা। এনরিকে তাই আশা খুঁজছেন, ‘ফল যে রকম হয়েছে, সেটা আমরা চাইনি। তবে আশাবাদী হওয়ার আরও অনেক কারণ আছে আমাদের।’ এনরিকের আশার একটা কারণ তো অবশ্যই আগের লেগের ফল। গত সপ্তাহে ন্যু ক্যাম্পে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল বার্সা। তবে এনরিকের ভালোই জানা, নিজেদের মাঠে সেই ফল উল্টে দেওয়ার ক্ষমতা অ্যাটলেটিকোর ভালোমতোই আছে। এই সপ্তাহেই বার্সা যেখানে সোসিয়েদাদের কাছে হেরেছে, অ্যাটলেটিকো এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও এসপানিওলকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে। দুই বছর আগের ফলটাও অ্যাটলেটিকো কোচকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আট থেকেই বার্সাকে বিদায় করে দিয়েছিল অ্যাটলেটিকো। ভিসেন্তে ক্যালদেরনে অ্যাটলেটিকোকে ওই ম্যাচে জয় এনে দিয়েছিলেন কোকে। আজকের ম্যাচের আগে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আবার জাগিয়ে তুলতে চাইছেন সমর্থকদের, ‘আশা করি, স্টেডিয়াম গমগম করবে। আমি নিশ্চিত, এটা হবে দুর্দান্ত একটা রাত। আগের ম্যাচে পরিস্থিতির কারণে আমরা জিততে পারিনি, তবে নিজেদের মাঠে আমরা ঠিকই অন্য কিছু করব।’ অ্যাটলেটিকোকে অবশ্য আজ মাঠে নামতে হচ্ছে ফার্নান্দো তোরেসকে ছাড়াই। আগের লেগে দলের একমাত্র গোলটি করার মিনিট দশেক পর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। যে কারণে তোরেস আজ শুধুই দর্শক। এক মাস আগেও প্রথম একাদশে জায়গা নিশ্চিত ছিল না, তবে গত কয়েক ম্যাচে এমনই পারফরম্যান্স যে, সিমিওনে আজ তোরেসের অভাব বোধ না করে পারেনই না!

No comments

Powered by Blogger.