সেন্ট লুসিয়া ফেরাবে ইংলিশরা?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনো অপরাজিত নিউজিল্যান্ড।
দুর্দান্ত ফর্মে আছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও।
তবে দল ভালো করলেও ব্যাট হাতে এখনো অনুজ্জ্বল ইংলিশ
অধিনায়ক মরগান। আজ তাঁর ফর্মে ফেরার অপেক্ষায় থাকবে
ইংল্যান্ড। অনুশীলনে সেমিফাইনালের প্রস্তুতি সেরে নিলেন দুজনই।
২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইংলিশদের কাছে হয়ে উঠেছিল দুঃখ মোচনের বিরাট উপলক্ষ। পল কলিংউডের দল সেন্ট লুসিয়ায় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কার। লঙ্কানদের ৪ রানে হারিয়ে ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো পা রেখেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। এরপর দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ঘুচিয়ে প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক শিরোপা জিতে ঘরে ফিরেছিল ইংলিশরা। ছয় বছর পর আবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড। এবার প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ইংলিশরা কি পারবে দিল্লিতে ফেরাতে সেন্ট লুসিয়ার স্মৃতি? ফাইনাল খেলা সেই ইংলিশ দলের মাত্র একজন সদস্য আছেন বর্তমান দলে—এউইন মরগান; যাঁর নেতৃত্বে ইংলিশরা দেখছে আরেকটি শিরোপার স্বপ্ন। ২০১০-এর সঙ্গে এই দলটার পার্থক্য মরগানের চেয়ে ভালো বলতে পারবেন কে? দুই দলের যথেষ্ট সাদৃশ্যই খুঁজে পাচ্ছেন ইংলিশ অধিনায়ক, ‘হ্যাঁ, অনেক মিল রয়েছে। মূল কথা হলো, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবাই কতটা নির্ভার থাকতে পারে, কতটা চ্যালেঞ্জ নিতে পারে এবং জিততে কতটা উন্মুখ থাকতে পারে। যা-ই করুন, সেটা উপভোগ করতে হবে। আমাদের এই দলটা নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে, যার সঙ্গে ২০১০-এর অনেক মিল।’ এবার অবশ্য তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয়েছে হারের হতাশা দিয়ে। মুম্বাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮২ রান করেও জিততে পারেনি তারা। ইংলিশদের বড় স্কোরটাও মামুলি হয়ে গিয়েছিল ক্রিস গেইলের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে। সেই ইংল্যান্ডই পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ২২৯ রান টপকে গিয়েছিল ২ বল বাকি থাকতে। টানা তিন ম্যাচ জিতে উঠেছে শেষ চারে। তবুও এই ম্যাচে ইংল্যান্ড নয়, ফেবারিট তকমা নিয়ে খেলতে নামবে নিউজিল্যান্ডই। সুপার টেনে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে কিউইরা। অবশ্য প্রতিপক্ষ নিয়ে মোটেও ভাবছেন না ইংলিশ অধিনায়ক, ‘সত্যি বলতে কী, এ নিয়ে একদমই ভাবছি না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমরা ফেবারিট ছিলাম। আসলে সেমিফাইনালে কঠিন এক ম্যাচই হবে। আশা করি উইকেট ভালোই হবে। সেরা দলই জিতবে এখানে।’ টুর্নামেন্টে পারফরম্যান্সের বিচারে নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে রাখলেও একটি জায়গায় ইংল্যান্ড এগিয়ে। কিউইরা সুপার টেনের চারটি ম্যাচই খেলেছে ভিন্ন ভিন্ন মাঠে। আর ইংলিশরা দিল্লিতেই খেলেছে নিজেদের সর্বশেষ দুটি ম্যাচ (শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে)। মরগান আশাবাদী, এই অভিজ্ঞতা তাঁদের কাজে দেবে, ‘দিল্লিতে আমরা ভালোভাবে থিতু হয়ে গেছি। আমাদের জন্য ভালো হয়েছে এটা। পিচের সঙ্গে আমরা মানিয়ে নিতে পেরেছি।’ দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও কিউইদের চেয়ে ঢের এগিয়ে ইংলিশরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩ টি-টোয়েন্টি খেলে জিতেছে ৮টিতেই। পরিসংখ্যান, শেষ চারে অতীতের মধুর স্মৃতি—সব মিলিয়ে ইংলিশরা ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখতেই পারে।

No comments

Powered by Blogger.