ইরানের কাছে ক্ষমা চাইল যুক্তরাষ্ট্র

সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ১০ নাবিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ক্ষমা চাওয়ার পরই তাদের মুক্তি দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ইরানের রেভ্যুলিউশনারি গার্ড নেভাল ফোর্সেসের কমান্ডাররা। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বুধবার ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, নৌযান দুটি কুয়েত এবং বাহরাইনের মধ্যকার জলসীমায় একটি প্রশিক্ষণ অভিযানে অংশ নিচ্ছিল এবং একটি নৌযান কারিগরি ত্রুটির কারণে ইরানের জলসীমায় ভেসে যায়। মার্কিন এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, কুয়েত থেকে বাহরাইন যাওয়ার পথে তারা আটককৃত দুটি নৌযানের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেন। পরে ইরানীয়রাই তাদেরকে অবহিত করেন যে নাবিকরা নিরাপদ আছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র অনুপ্রবেশের কারণে ক্ষমা চাওয়ার পর তাদের মুক্তি দেয়া হয়। তদন্তে দেখা গেছে, নৌকাগুলো ‘দুর্ভাগ্যবশত’ ইরানের জলসীমায় প্রবেশ করে।
গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফের সঙ্গে কথা বলেন। এরআগে ইরানের রেভ্যুলিউশনারি গার্ডের নৌবাহিনী প্রধান জেনারেল আলি ফাদাভি জানিয়েছিলেন, শিগগির গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেয়া হবে। তিনি দাবি করেন, গ্রেফতারকৃতরা ‘অপেশাদার’ আচরণ করেছেন। দুই মন্ত্রীর আলাপের সূত্র ধরে জেনারেল ফাদাভি বলেন, ‘তারা (গ্রেফতারকৃতরা) আমাদের সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে। এটা তাদের করা ঠিক হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের তাই ক্ষমা চাওয়া উচিত। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফের দৃঢ় অবস্থান ছিল।’ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত নাবিকদের মধ্যে নয়জন পুরুষ ও একজন নারী ছিলেন। এর আগে ২০০৭ সালে ইরান ১৫ জন ব্রিটিশ নাবিক ও নৌ সেনাকে সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। তাদের ১৩ দিন আটক রাখা হয়েছিল।

No comments

Powered by Blogger.