নাসার ‘রাসায়নিক ল্যাপটপ’

রাসায়নিক ল্যাপটপ
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এমন এক ল্যাপটপ কম্পিউটার তৈরি করেছে, যা হয়তো একদিন ভিনগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে বের করবে। বিজ্ঞানীরা যন্ত্রটিকে বলছেন ‘রাসায়নিক ল্যাপটপ’। গ্রহান্তরে গিয়ে এই ল্যাপটপ নমুনা সংগ্রহ করে তাতে হয়তো এমন কিছুর অস্তিত্ব খুঁজে পাবে, যা এলিয়েন বা জীবনের সন্ধান দেবে। তরল নমুনা সংগ্রহ করে রঙের সঙ্গে মিশিয়ে লেজার রশ্মির মাধ্যমে নির্ধারণ করবে এটি অ্যামাইনো, নাকি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই অ্যাসিডই জীবনের অস্তিত্ব শনাক্ত করে।
চলচ্চিত্র মূলত বাস্তব জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। তবে কিছু কিছু চলচ্চিত্র আছে, যেগুলো থেকে বাস্তবের দুনিয়া শিখতে পারে। এমনই এক সিনেমা স্টার ট্রেক। এই ছবি থেকে আগে অনেক কিছুই তৈরি হয়েছে, পাওয়া গেছে নতুন অনেক ধারণা। রাসায়নিক ল্যাপটপকেও এই স্টার ট্রেক-এর ‘ট্রাইকোর্ডার’-এর সঙ্গে তুলনা করছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসার জেট প্রপালশন গবেষণাগারের প্রযুক্তিবিদ ফার্নান্দা মোরা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের যন্ত্রটি মূলত কেমিক্যাল অ্যানালাইজার (রাসায়নিক বিশ্লেষক)। এটাকে পুনরায় প্রোগ্রাম করে নতুন নতুন কাজে ব্যবহার করা যাবে। একই ল্যাপটপের ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপে যেমন ভিন্ন ভিন্ন কাজ হয়, এটাও তেমনই।’ খুব সহজ-সরল মনে হলেও আদতে ব্যাপারটা বেশ জটিল। অ্যামাইনো ও ফ্যাটি—দুই ধরনের অ্যাসিডই জীবনের চিহ্ন বহন করে। তবে জীবের বাইরেও এসব অ্যাসিড তৈরি হতে পারে। সমস্যাটা এখানেই, পার্থক্য করাটা কঠিন। এরও সমাধান আছে নাসার এই যন্ত্রে। তরল নমুনা নিয়ে কাজ করে বলে এটা বৃহষ্পতির উপগ্রহ ইউরোপাতে কাজে লাগানো যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের অনেক দিনের ধারণা, ইউরোপাতে হয়তো জীবনের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
ম্যাশেবল অবলম্বনে মেহেদী হাসান

No comments

Powered by Blogger.