শরণার্থীদের মার্কেলের অফিসে পাঠালেন মেয়র

জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের এক ক্ষুব্ধ মেয়র সিরিয়ার শরণার্থীদের একটি গ্রুপকে বাসে বোঝাই করে রাজধানী বার্লিনে চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। মেয়র অবশ্য এসব শরণার্থীকে খালি হাতে পাঠাননি। বার্লিনে তাদের বাসাভাড়া করে থাকার খরচটুকু নিজের পকেট থেকেই দিয়েছেন মেয়র পিটার দ্রিয়ের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসটি বার্লিনে এসে পৌঁছেছে। খবর এএফপি, ডেইলি মেইল। ল্যান্ডশাট জেলার মেয়র পিটার জানান, এর মাধ্যমে তিনি এই বার্তা দিতে চান যে, শরণার্থীদের বিষয়ে জার্মানিকে আর পূর্বের নীতিতে চলা যাবে না। মেয়র আরও জানান, শরণার্থীদের বাসে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনার কথা গত অক্টোবরে তিনি মার্কেলকে জানিয়েছিলেন। বাসটি অবশ্য প্রায় দেড় ঘণ্টা মার্কেলের কার্যালয়ের বাইরে দাঁড় করানো ছিল। পরে কর্মকর্তারা বাসটিকে অন্যত্র নিয়ে যান। জার্মান সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, বাসে থাকা শরণার্থীদের যে রাজনৈতিক বিবৃতি হিসেবে ব্যবহার করছে তা তারা জানত না। মেয়রের এই পদক্ষেপে অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বাভারিয়ান গ্রিন পার্টির নেতা সিগি হ্যাগল বলেন, ‘এটা খুবই জঘন্য যে যারা আশ্রয় খুঁজছে তিনি (মেয়র) তাদের ব্যবহার করছেন। এটা পুরোপুরি ভুল।’ গত বছর জার্মানি প্রায় ১১ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার শরণার্থীদের আশ্রয় ও অন্যান্য ব্যবস্থা করবে।
কেন্দ্রীয় সরকার এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে। ডেনমার্কের দেখাদেখি এবার শরণার্থীদের মালামাল জব্দ করছে সুইজারল্যান্ড সিরিয়া থেকে ধেয়ে আসা বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর খরচ মেটাতে তাদের কাছ থেকে মালামাল জব্দ করার তালিকায় নাম লেখালো সুইজারল্যান্ডও। এতদিন শরণার্থীদের কাছ থেকে সম্পত্তি জব্দ করার কারণে সমালোচিত হয়ে আসছিল ডেনমার্ক। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের সম্প্রচারমাধ্যম এসআরএফের এক শোতে বলা হয়, তাদের দেশে যেসব শরণার্থী আসছেন তাদের কাছ থেকেও মালামাল জব্দ করা হচ্ছে। এসআরএফের ওই শোতে বলা হয়, শরণার্থীদের কাছে যদি এমন কোনো মালামাল থাকে যার অর্থমূল্য ১ হাজার সুইস ফ্রাংকের চেয়ে বেশি তবে তা সুইস সরকারের কাছে জমা দেয়ার নিয়ম করা হয়েছে। বিনিময়ে শরণার্থীদের একটি রিসিট দেয়া হয়। আর এ প্রক্রিয়ার কারণে নিজেদের আরও বেশি অসহায় মনে করছেন শরণার্থীরা। এসআরএফের শোতে রিসিটধারী এক সিরীয় শরণার্থীকে উপস্থাপন করা হয়। তিনি জানান, সিরিয়া থেকে আসার পথে দালালদের টাকা-পয়সা দেয়ার পর তার কাছে যে পরিমাণ টাকা ছিল তার অর্ধেকেরও বেশি সুইস সরকারের কাছে জমা দিতে হয়েছে। এদিকে সুইজার?ল্যান্ডের এ পদক্ষেপে ক্ষোভ জানিয়েছে অভিবাসীদের সহায়তাকারী সংগঠনগুলো। স্টেফ্যান ফ্রে নামের এক সহায়তাকারী বলেন, ‘এ ধরনের নিয়ম অসম্মানজনক। এটির পরিবর্তন প্রয়োজন।’ এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার সমালোচনার মুখে অভিবাসীদের সম্পত্তি জব্দ করার প্রস্তাবে কিছুটা পরিবর্তন আনছে ডেনমার্ক। অভিবাসীদের কাছে আগের চেয়ে বেশি মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা রাখার ব্যাপারে অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

No comments

Powered by Blogger.