যুদ্ধ হলে ভারতকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে -পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি

জেনারেল রাহিল শরিফ
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ কাশ্মীরকে ‘দেশভাগের অমীমাংসিত এজেন্ডা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘ছোট বা বড় যে যুদ্ধই হোক’ এর জন্য ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে। খবর এনডিটিভির।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের বার্ষিকী উপলক্ষে গত রোববার পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেনারেল শরিফ এসব কথা বলেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমি বলতে চাই, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বাইরের শক্তির আক্রমণ প্রতিহত করতে পুরোপুরি প্রস্তুত।’
গত সপ্তাহেই ভারতের সেনাপ্রধান দলবীর সিং সুহাগ ‘ছোট মাত্রার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে’ তাঁর সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। দলবীর অভিযোগ করেছিলেন, পাকিস্তান অব্যাহতভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে জম্মু ও কাশ্মীরকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে।
ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে কয়েক দিন ধরে চলা সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে দলবীর ওই কথা বলেন।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল শরিফ ভারতের নাম উচ্চারণ না করে রাওয়ালপিন্ডিতে বলেন, যদি শত্রুরা আক্রমণের দুঃসাহস দেখায়, তবে যুদ্ধ ছোট বা বড় যা-ই হোক না কেন—শত্রুদের চরম মূল্য দিতে হবে।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ অবিচার ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে—এমন অভিযোগ করেন রাহিল শরিফ। তিনি বলেন, কাশ্মীর সমস্যার ন্যায়সংগত সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি আসবে না।
আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে একমত না হওয়ার কারণে গত মাসে ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায়। ভারত চেয়েছিল যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ এবং পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসীদের বিষয়টি আলোচিত হোক বৈঠকে। আর পাকিস্তান চেয়েছিল, বৈঠকে শুধু কাশ্মীর প্রসঙ্গ আলোচিত হোক। অন্য কোনো বিষয় এতে যুক্ত করা যাবে না।
নিজের তৈরি ড্রোন দিয়ে প্রথমবারের মতো হামলা: পাকিস্তান নিজের তৈরি ড্রোন (মানুষবিহীন বিমান) ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো হামলা চালিয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় চালানো ওই হামলায় তিনজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল অসীম বাজা খুদে বার্তা লেখার ওয়েবসাইট টুইটারে লিখেছেন, ‘আজ পাকিস্তানের তৈরি ড্রোন “বুরাক” প্রথমবারের মতো ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে। শাওয়াল উপত্যকায় সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে চালানো ওই হামলায় তিনজন শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।’

No comments

Powered by Blogger.