জাপান থেকে ফেরত আসাদের তালিকা হচ্ছে

আশির দশকে জাপানে বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনায় সে দেশেই কোনো উপায় না পেয়ে দেশে ফিরে এসেছেন বহু বাংলাদেশী। এরা সেখানে নানা রকম আইনি জটিলতায় শিকার হয়ে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন। এ সব হতভাগাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে তালিকা প্রণয়ন করছে এশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটি নামের একটি সংগঠন। এ সব ব্যক্তিদের নাম ও প্রকৃত সংখ্যা তুলে দেয়া হবে জাপান সরকারকে, যাতে এরা ভবিষ্যতে সাহায্য সহযোগিতা পান।
টোকিওর রিক্কিয়ো বিশ্ববিদ্যালয় এবং টোকিওর বৃহত্তম মানবাধিকার সংগঠন পিপলস ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটি। এই এশিয়ান পিউপলস ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির উদ্যোগে বৈশ্বিক অভিবাসন, বহুজাতিক নেটওয়ার্ক এবং জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিষয়ের ওপর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্প্রসারিত মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশীদের ব্যপারে এ সব কথা বলা হয়েছে।
টোকিওর এশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইয়োশিনারী কাৎসুওর সভাপতিত্বে এই সংবাদ সম্মেলনে টোকিওর রিক্কিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: মিজুকামি তেতসুও বলেন, বাংলাদেশী এবং জাপানীদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের সাথে জাপানের অভিবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে জাপানে অবস্থান করে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। যাদের মধ্যে কিছু বাংলাদেশী বাধ্য হয়েছেন ফিরে আসতে শুধুমাত্র আইনগত জটিলতার কারণে। এদেরকে সংগঠনটি নিবিড়ভাবে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবে ,যারা জাপানে বসবাস করেছিলেন বিভিন্ন সময়ে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ড: ইয়াসুহিতো কিনোশিতা, অধ্যাপক নোরো ইয়োশিয়াকি, টোকিওর ওয়াছেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নাকাইয়ামা ইউকা এবং টোকিওর এশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম।
আয়োজকরা জানান, ১৯৮৭ সালে জাপানে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি অভিবাসীদেরকে জাপানে মর্যাদার সাথে অবস্থান করতে সহায়তা করে। বৈশ্বিক অভিবাসন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ থেকে জাপান গমনেচ্ছু বাংলাদেশীর সংখ্যা ১৯৮০ সালের শেষ দিক থেকেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের সামাজিক অবস্থা নির্ণয় করা। অভিবাসন ও অভিবাসন সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত বহু বিষয় যা এখনও জাপানে বিদ্যমান। সে ক্ষেত্রে সাধারণভাবে শ্রমবাজারের স্বল্পতা সমস্যাকেই বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে এবং জাপানে অবস্থানরত বয়স্ক নাগরিক এবং বাসস্থান সমস্যাকেও চিহ্নিত করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.