বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের ভারতে থাকার অনুমতি দিল্লির

বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আসা সে দেশের সংখ্যালঘু উদ্বাস্তুদের ভারতে থাকার অনুমতি দিল মোদি সরকার। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যারা এদেশে ঢুকেছেন এবং যাদের অনুমতিপত্রের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, দু’ধরনের মানুষই এখন থেকে আইনতভাবে ভারতে থাকতে পারবেন। এরজন্য পাসপোর্ট আইন কিংবা ফরেনার্স অ্যাক্ট লঙ্ঘনের দায়ে পড়বেন না তারা। এই দুটি আইন থেকেই সোমবার তাদের ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করল নয়া দিল্লি। সোমবার একটি বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের যে সমস্ত সংখ্যালঘু নাগরিক বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে ঢুকেছেন এবং যাদের বৈধ কাগজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে, মানবিকতার খাতিরে, তাদের প্রত্যেককেই পাসপোর্ট আইন (১৯২০) এবং ফরেনার্স আইন (১৯৪৬)-এর আওতার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান-- এই দুই দেশের বহু সংখ্যালঘু মানুষকেই ধর্মের কারণে নির্যাতনের মুখে পড়তে হচ্ছে। যার জেরে তাঁরা বাধ্য হয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন হিন্দু, শিখ, খ্রীস্টান, জৈন, পার্সি এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। এই ধরনের বাংলাদেশি এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে থাকার অনুমতি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে অনুপ্রবেশকারী এবং শরণার্থী বিবাদ উস্কে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। দাবি করেছিলেন, ফারাক রয়েছে এই দু’ধরনের মানুষের মধ্যে! ক্ষমতায় আসার পর তো শরণার্থীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসাও চালু করেছে মোদি সরকার। এবার একেবারে শরণার্থীদের দেশে থাকার আইনি ছাড়পত্র! রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বাংলাদেশি শরণার্থীদের একটা বড় অংশ থাকে াসিাম এবং পশ্চিমবঙ্গে। ঘটনাচক্রে যে দুই রাজ্যেই বিধানসভা নির্বাচন ২০১৬ সালে। এই পরিস্থিতিতে এহেন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ।– সংবাদসংস্থা

No comments

Powered by Blogger.