ময়মনসিংহ পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে আবর্জনা, নাক চেপে চলাচল by কামরান পারভেজ

রাস্তার পাশে ময়লা–আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।
দুর্গন্ধ সহ্য না করতে পেরে পথচারীরা নাক চেপে চলাচল
করছেন। ময়মনসিংহ শহরের ফুলবাড়ীয়া বাসস্ট্যান্ড
থেকে গত শনিবার তোলা ছবি l প্রথম আলো
ময়মনসিংহ পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে আবর্জনার স্তূপ জমে থাকায় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করার সময় পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত আবর্জনা অপসারণ না করায় বৃষ্টির পানিতে সড়কজুড়ে ওই আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে।
গত শুক্র ও গত শনিবার সরেজমিনে শহরের বাউন্ডারি, ডিভি, আর কে মিশন, হরিকিশোর রায় রোড এবং মাদ্রাসা কোয়ার্টার, সানকিপাড়া, কাঠগোলা এলাকার বিভিন্ন সড়কে আস্তাকুঁড়ের (ডাস্টবিন) বাইরে আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বৃষ্টির পানিতে ভেসে ওই সব আবর্জনা সড়কজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দুর্গন্ধে ওই সব সড়ক দিয়ে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো সড়কে আস্তাকুঁড় না থাকায় সড়কেই আবর্জনা ফেলছেন পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
গত শুক্রবার বিকেলে আর কে মিশন সড়কের সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনে গোলাম মোস্তফা নামের একজন পথচারী বলেন, প্রতিবছর বর্ষাকাল এলেই ময়মনসিংহ শহরে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। দুর্গন্ধের কারণে বিভিন্ন সড়ক দিয়ে চলাচল করা যায় না।
গতকাল দুপুরে শহরের পুরাতন ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের অর্ধেক অংশজুড়েই ছড়িয়ে আছে আবর্জনা। বৃষ্টির পানিতে সেই আবর্জনা ভেসে সড়কজুড়ে ছড়িয়েছে। এতে যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের পায়ে হাঁটার পথ সংকুচিত হয়ে গেছে। পথচারীরা নাক চেপে ধরে চলাচল করছেন।
পুরাতন ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়ক দিয়ে চলাচল করেন নুরুল আলম। তিনি অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই সড়কজুড়ে এভাবে আবর্জনা পড়ে থাকছে। অথচ প্রতিদিন ভোরে পৌরসভার গাড়ি এসব আবর্জনা নিয়ে যাওয়ার কথা। তবে রোজার মধ্যে সড়কে সড়কে এভাবে আবর্জনা জমে থাকায় বিভিন্ন এলাকার আরও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ময়মনসিংহ পৌরসভার স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত আবর্জনা অপসারণ করা হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যানে করে নিয়ে আসা আবর্জনা আনতে দেরি হলে মাঝে মাঝে একটু সমস্যা হয়।
এ ব্যাপারে কথা বলতে পৌর মেয়র ইকরামুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি।

No comments

Powered by Blogger.