প্রথম পরীক্ষায় কোকেন শনাক্ত না হওয়ায় প্রশ্ন

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রথম পরীক্ষায় আটক চালানে কোকেন থাকার বিষয় জানা সম্ভব না হওয়ায় তা নিয়ে সমালোচনা উঠেছে। এদিকে বাংলাদেশে ধরা পড়া কোকেনের চালান নিয়ে তদন্তের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেয়া হচ্ছে। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ চেয়ে জাতিসংঘের মাদকবিরোধী সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, ধরা পড়া চালানে কোকেন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হলেও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ছাড়া এর পরিমাণ জানা সম্ভব হচ্ছে না এবং সে কারণে তদন্ত আটকে আছে। এদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রথম পরীক্ষায় আটক চালানে কোকেন থাকার বিষয় জানা সম্ভব না হওয়ায় তা নিয়ে সমালোচনা উঠেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে ধরা পড়া মাদকদ্রব্য কোকেনের চালান নিয়ে তদন্ত এবং আইনগত প্রক্রিয়া আটকে গেছে বলে শুল্ক বিভাগের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন। শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, তারা এখন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের অপেক্ষায় আছেন। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া থেকে আনা একটি কন্টেইনারে ১০৭ টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামে তরল অবস্থায় কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সায়েন্স ল্যাবরেটরি এবং ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে কোকেনের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, মাঠপর্যায়ে তাদের পরীক্ষায় তরল কোকেনের বিষয়টা ধরা পড়েনি, তবে তাদের ল্যাবরেটরিতে হলে সঠিক পরীক্ষায় বিষয়টা ধরা পড়ত। পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চালানটি প্রথম পর্যায়ে ছাড়িয়ে নেয়ারও চেষ্টা হয়েছে। তবে বিদেশী একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে কন্টেইনারটি জব্দ করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মইনুল খান বলেছেন, এর পিছনে দেশী-বিদেশী একটি চক্র রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.