বাংলাদেশকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসের চারণভূমি করতে দেব না

দেশের পোল্টি ফার্ম, ক্যানসার প্রতিষেধক ঔষধ, তৈরী পোশাকসহ সব ধরনের রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপিত কর এবং শিক্ষাখাতে আরোপিত ভ্যাট হ্রাস ও প্রত্যাহারের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ তুলে ধরলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তা গ্রহণ করেন। সবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে বিশাল বাজেট দিয়েছি তাতে মাত্র ৫ ভাগ ঘাটতি রয়েছে। বাজেট ৫ ভাগ ঘাটতি কোন ব্যাপার না। আমরা এর আগে উন্নয়ন বাজেটের ৯৫ ভাগ বাস্তবায়ন করেছি। সবাই সহযোগিতা করুন, ইনশাআল্লাহ প্রস্তাবিত বাজেটও আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো, দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নেব। গতকাল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সমাপনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নত হোক এটা অনেকেরই পছন্দ হয় না। আমাদের দেশে একটি গোষ্ঠী ও দল রয়েছে যারা মানুষকে পুড়িয়ে মেরে আত্মতুষ্টি পায়। পোড়া মানুষের লাশ নিয়ে বীভৎস উল্লাসে মেতে ওঠে। তবে আমরা বাংলাদেশকে কোনভাবেই জঙ্গি ও সন্ত্রাসের চারণভূমি করতে দেব না, বাংলাদেশের মাটিকে জঙ্গি-সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। এ ব্যাপারে বর্তমান সরকারের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট অবরোধ-হরতালের নামে তিন মাস ধরে জ্বালাও-পোড়াও, ধ্বংসযজ্ঞ না চালালে আমাদের স্থিরকৃত প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগে উন্নীত করতে পারতাম। প্রায় দেড় ঘণ্টার দীর্ঘ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উন্নয়ন-সাফল্যের বিবরণ তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে, এবারের ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকার বেশি বিশাল বাজেট ঘোষণাই তার প্রমাণ। বাজেট দিলেই অনেকে সমালোচনা করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা আজ কেউ-ই অস্বীকার করতে পারছে না। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের রিপোর্টেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক বছরে ১৪ ধাপ এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশ ও জনগণের কল্যাণ করা। এ কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশাও বেশি। আমরা জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আগে বাংলাদেশ মানেই ক্ষুধা-দারিদ্র্য, সন্ত্রাস-দুর্নীতি-জঙ্গিদের দেশসহ নানা অপবাদ জর্জরিত ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরও অনেকে বলেছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও কিছুই করতে পারবে না। আমরা সেসব দুর্নাম ও অবহেলা থেকে দেশকে মুক্ত করেছি, এখন কেউ-ই বাংলাদেশকে আর অবহেলার চোখে দেখে না। বরং বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। দেশে এখন অতি দরিদ্র্য নেই বললেই চলে মন্তব্য করে সংসদ নেতা বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, দারিদ্র্যের হার ২৩ ভাগে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। অতি দরিদ্র্যের হার ৭ ভাগে নামিয়ে আনতে পেরেছি। যার অর্থ দাঁড়ায় দেশে হৃতদরিদ্র্য নেই বললেই চলে। যারা অতি দরিদ্র্যতার মধ্যে রয়েছে তাদেরকে সরকার থেকে বিনামূল্যে খাদ্যসহ সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী সংসদে থাকা সাবেক সেনা প্রধান এইচ এম এরশাদকে লক্ষ্য করে বলেন, আমরা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য যা করেছি, সশস্ত্র বাহিনীর লোকেরা ক্ষমতায় থাকতেও তা করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার। দেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছি। প্রায় ৩ কোটি ৮৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে বলেন, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশে বিনিয়োগ প্রায় ২৯ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বমন্দার পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর জ্বালাও-পোড়াও, ধ্বংসযজ্ঞসহ শত প্রতিকূলতার মধ্যেও জিডিপি সাড়ে ৬ ভাগ রাখতে সক্ষম হয়েছি। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা গ্রামের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে চাই। কারণ গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী হলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে। সরকারের ব্যাপক পদক্ষেপের কারণে দেশে আজ ধনী-গরিবের বৈষম্যও হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার আগে বিদ্যুতের মারাত্মক সংকট ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ৬ বছরে দেশে এখন ৭০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশ এখন ১৩ হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। নেপাল-ভুটান-বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চুক্তি হয়েছে, এতে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিরও পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা যাতে না হয় তার সব ব্যবস্থা রেখেই রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে বিরোধী দলের নেতাসহ কিছু ব্যক্তিবর্গের বিরোধিতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিনাজপুরের মতো ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলছে। সেখানে প্রাকৃতিকসহ কোনকিছু সামান্য ক্ষয়ক্ষতির কথা কেউ বলতে পারেনি। এটা আমাদের দেশ। তাই এই দেশ ও সুন্দরবন রক্ষার ব্যাপারে আমাদের থেকে বেশি দরদ কারও বেশি থাকবে, তা বিশ্বাস করি না। এটা মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশির মতোই। কোথায় সুন্দরবন আর কোথায় রামপাল। সুন্দরবনের সামান্য ক্ষতি হলে আমরা এ প্রকল্প করতে দিতাম না। আসলে বাংলাদেশের উন্নতি অনেকেরই পছন্দ হয় না, এটাই বাস্তবতা। অবৈধভাবে মানব পাচার সম্পর্কে বিরোধী দলের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়া নতুন কিছু নয়। আমরা ক্ষমতায় আসার আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ বাংলাদেশী অবৈধভাবে ছিল। ’৯৬ সালে আমরা প্রথম ক্ষমতায় আসার পর কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিই। তিনি বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরবে ৮ লাখ এবং মালয়েশিয়ায় সাড়ে ৬ লাখ অবৈধ বাংলাদেশী ছিল। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সবাইকে বৈধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধভাবে প্রবাস গমন রোধে সরকার থেকে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরও কিছু মানুষ অবৈধভাবে যেতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে যা সত্যিই দুঃখজনক। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের গত ৬ বছরে দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, ৫ কোটি মানুষ মধ্যম আয়ে উন্নীত হয়েছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। সারা দেশে অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন চলছে। রাজধানী ঢাকাকে দেখলেই তার প্রমাণ হবে। ঢাকার যানজট নিরসনেও ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, মেট্রোরেল নির্মাণ করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। এমনকি ক্রীড়াক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় উন্নতি করেছে। বাংলাদেশ যখন টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা পায় তখন অনেকেই অনেক কথা বলেছিল। এখন আমরা পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছি, ভারতের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজে জিতেছি। খুব ইচ্ছা ছিল মাঠে গিয়ে খেলা দেখবো এবং ট্রফিটা নিজে টাইগারদের হাতে তুলে দেব। কিন্তু অসুস্থতার কারণে মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে পারিনি, কিন্তু খুব শিগগিরই টাইগারদের ডেকে সম্মান জানানো হবে। শিক্ষাঙ্গনে সেসনজটের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, দেশের শিক্ষাঙ্গনে কোন সেসনজট নেই, প্রত্যেক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে।
কারসাজির সঙ্গে জড়িতরা দেশে ফিরলেই ব্যবস্থা
পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে বিরোধী দলের অভিযোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারের সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, তা নয়। অনেকেই হয়তো দেশে নাই,  দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। যে মুহূর্তে আমরা তাদের পাবো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) শক্তিশালী করা হয়েছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া হয়েছে। যা সফলভাবেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণেই পুঁজিবাজার এখন একটি স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। মাঝে মধ্যে হয়তো কিছু কিছু খেলার চেষ্টা করা হয়। তবে যখনই এ ধরনের চেষ্টা করা হয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জন্য ফিন্যান্সিয়াল লিটারেচারি প্রোগ্রাম চালু করা হচ্ছে। যাতে পুঁজিবাজারে যারাই যাবে, বিষয়টি জেনে বুঝে বিনিয়োগ করতে পারে। শেয়ার লেনদেনে নতুন নতুন উপাদান যুক্ত করা হচ্ছে। ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট প্রণয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
স্থল সীমান্ত চুক্তি সরকারের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সাফল্যে
ভারতের লোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন করায় সেদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতাসহ সকল রাজনৈতিক দলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই সমস্যাগুলোর সমাধান করছি। ভারতের সঙ্গে সম্প্রতি সম্পাদিত স্থল সীমান্ত চুক্তি বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বড় সাফল্যে। সবার সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বিজ্ঞানমনস্ক ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে চার দেশের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে কোন একটি দেশ এককভাবে এগিয়ে যেতে পারে না। আমাদের প্রচেষ্টা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সেই চেষ্টার ফসল হিসেবে সম্প্রতি নেপাল-ভুটান-ভারত-বাংলাদেশ এই চার দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এতে করে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ ছাড়া মিয়ানমার-চীন-ভারত-বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। এ লক্ষ্যে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা চলছে।

No comments

Powered by Blogger.