সীমান্ত এলাকায় গুলিবর্ষণ না করতে বিজিবির অনুরোধ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের কর্মকর্তারা। গতকাল দুপুরে সীমান্তের ঘুমধুম ফ্রেন্ডশীপ ব্রিজের কাছে বিজিবি-বিজিপি সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিপির কর্মকর্তাদের কাছে সীমান্তে অহেতুক গুলিবর্ষণ বন্ধের দাবিও জানানো হয়। এ সময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা সীমান্তে গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করে জানান, আতঙ্ক সৃষ্টি করতে নয়, সীমান্তে মিয়ানমারের ওপারে হাতি তাড়ানোর লক্ষে সীমান্তরক্ষীরা ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে থাকে। পতাকা বৈঠকে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়। পতাকা বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিককালে ব্যাপক হারে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। তাদেরকে আটক করে বিজিবি ফেরতও পাঠাচ্ছে। পতাকা বৈঠকে সীমান্তে একটি বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস স্থাপনের বিষয়ে বিজিবি-বিজিপি ঐক্যমতে পৌঁছে। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরে কর্মান্ডার কর্নেল মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান।  অপরদিকে মিয়ানমারের পক্ষে ৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিপির মংডু সেক্টরের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল মিউ সুই। দুপুর ১২টা থেকে ২ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে মাদক ইয়াবা পাচারকারীদের তৎপরতা বন্ধের কার্যক্রম গ্রহণ করা, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধ এবং সীমান্তে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণে উভয় দেশের কর্মকর্তারা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান এবং পারস্পরিক যোগাযোগ আরও বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এতে বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, উপ-মহাপরিচালক, মো. খালেকুজ্জামান, পিএসসি এবং মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন নং-১ বর্ডার গার্ড পুলিশ কমান্ডিং অফিস, মংডু, মিয়ানমারের, সেকেন্ড কমান্ডিং অফিসার পুলিশ কর্নেল ‘মিউ সুই’ (গুড় ঝবি)। এ ছাড়াও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে কক্সবাজার, নাইক্ষ্যংছড়ি, রামু এবং টেকনাফ ব্যাটালিয়নের চারজন অধিনায়কগণসহ সর্বমোট ১৪ জন উপস্থিত ছিলেন। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ২ জন লেঃ কর্নেলসহ ৯ জন উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.