আমার প্রাণনাশের উদ্দেশ্যেই গুলি চালানো হয়েছে -আব্বাসের নির্বাচনী প্রচারণায় খালেদা জিয়া

ডিসিসি দক্ষিণের মেয়রপ্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে গতকাল
গণসংযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রাণনাশের জন্যই কারওয়ান বাজারে তার গাড়িবহরে গুলি ও হামলা করা হয়েছিল। সিটি নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে বিপুল জনসমর্থন দেখে সরকার উন্মাদ হয়ে গেছে বলেই এ হামলা করেছে। গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সিটি নির্বাচনের প্রচারণাকালে বিভিন্ন পথসভায় বেগম জিয়া এ কথা বলেন। মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মশামুক্ত নিরাপদ ঢাকা শহর গড়তে আসন্ন সিটি নির্বাচনে মির্জা আব্বাসকে মগ মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য এলাকাবাসীর কাছে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
এ দিকে গতকাল রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ফকিরেরপুল কাঁচাবাজার এলাকায় বেগম জিয়ার গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে একদল দুষ্কৃতকারী হামলা চালায়। তারা গাড়িবহরে আবারো ইট ছোড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। কিন্তু ছাত্রদলসহ বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়।
গতকাল মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের মতো গণসংযোগকালে শান্তিনগরের টুইন টাওয়ার কনকর্ড শপিংমলের সামনে এক পথ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনে বিএনপির পে গণজোয়ার দেখে সরকার উন্মাদ হয়ে গেছে। এবারের সিটি নির্বাচনে আমরা অংশ নিয়ে ব্যাপক জনসমর্থন পাচ্ছি। এই অবৈধ অত্যাচারী সরকার ভেবেছিল, বিএনপি এ নির্বাচনে আসবে না। একতরফাভাবে তাদের লোকজনকে মতায় বসাবে।
ঢাকা দণি ও উত্তর এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আমাদের পে যে সাড়া জেগেছে, তা দেখে সরকার উন্মাদ হয়ে গেছে। উন্মাদ হয়ে তারা সোমবার আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার প্রাণনাশের জন্য গুলি চালিয়েছে।
এসব হামলার বিরুদ্ধে জবাব দিতে আগামী ২৮ এপ্রিল মির্জা আব্বাস, তাবিথ আউয়াল ও মনজুর আলমকে মেয়র পদে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।
বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে গতকাল হামলায় তিগ্রস্ত নিশান পেট্রল গাড়িতে চড়ে ঢাকা দণি সিটি করপোরেশন এলাকায় গণসংযোগে বের হন। তিনি প্রথম শাহজাহানপুর রেলওয়ে মার্কেটের কয়েকটি দোকানে নিজে লিফলেট নিয়ে দেিণ মেয়রপ্রার্থী মির্জা আব্বাসের পে ‘মগ’ মার্কায় ভোট চান। এ এলাকায় খালেদা জিয়ার আগমন উপলে খিলগাঁও ফাইওভার থেকে শাহজাহানপুর মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে কয়েক হাজার নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নামে। অনেক নারী-শিশু উঁচু ভবন থেকে হাত নেড়ে বিএনপি নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে। বেগম জিয়াও গাড়ি থেকে নেমে হাত নেড়ে মানুষের শুভেচ্ছার জবাব দেন।
এরপর ধীর গতিতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর রাজারবাগ সড়ক হয়ে মালিবাগে এসে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতির মধ্যে গাড়িবহর থেমে যায়। টুইন টাওয়ার শপিংমলের সামনে সিঁড়ির ওপর দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
সংপ্তি বক্তব্যে খালেদা জিয়া রাজধানী ঢাকাকে একটি অপরিচ্ছন্ন ও আবর্জনার শহর অভিহিত করে বলেন, এই শহর এখন নোংরা ও মশার নগরী হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা কেমন আপনারা তা দেখছেন। পানি নেই, গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মির্জা আব্বাসের পে ভোট চেয়ে তিনি বলেন, আব্বাস এ এলাকার সন্তান, তাকে আপনারা চেনেন, জানেন। সে আগে ঢাকার মেয়র ছিল, মন্ত্রী ছিল। অনেক উন্নয়ন করেছে। আগামীতে তাকে মগ মার্কায় ভোট দিয়ে ঢাকাকে মশামুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, আবর্জনামুক্ত ও পরিচ্ছন্ন একটি শান্তির নগরীতে পরিণত করুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পয়লা বৈশাখে নারী নিপীড়নের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারী নির্যাতন এখন প্রতিদিনের ঘটনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, মা-বোনেরা যদি এখনো সতর্ক না হন তাহলে আপনারা কেউ ছেলেমেয়েদের নিয়ে নিরাপদে থাকতে পারবেন না।
বর্তমান সরকারের হাতে গণতন্ত্র বন্দী হয়ে আছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, তিন সিটি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীদের ভোট দিলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে। যে গণতন্ত্র আওয়ামী লীগের বুটের তলায় পিষ্ট হয়ে আছে, সেই গণতন্ত্র ফিরে আনতে পারব। সিটি নির্বাচনের পর আমরা আস্তে আস্তে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাবো।
দেিণ মেয়রপ্রার্থী মির্জা আব্বাসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাচনে নামতে দিচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমি তার পে আজ ভোট চাইতে এসেছি। তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।
দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ ৪১ দিন ধরে নিখোঁজ উল্লেখ করে তিনি বলেনÑ গুম, খুন ও সন্ত্রাস নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে গেছে। সালাহ উদ্দিনকে সরকারের লোকজন ৪১ দিন আগে তুলে নিয়ে গেছে। এখনো ফেরত দেয়নি। ইলিয়াস আলীকেও অনেক দিন ধরে ফেরত দেয়নি তারা। গুম-খুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।
রাজধানীর আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতির সাথে মতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের গুণ্ডারা জড়িত বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এরপর শান্তিনগর, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরেরপুল সড়ক দিয়ে গাড়ি ধীর গতিতে চালিয়ে যাওয়ার সময়ে রাস্তার দুই ধারে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান।
রাত ৮টার দিকে নয়াপল্টন পলওয়েল মার্কেটের সামনে গাড়ির ওপর দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া মির্জা আব্বাসকে নিজের সন্তানের মতো উল্লেখ করে বলেন, আমি স্বামী হারিয়েছি দেশের জন্য। কিছু দিন আগে আমি সন্তান হারিয়েছি। মির্জা আব্বাস আমার সন্তানের মতো।
তিনি নগরবাসীর প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, সন্তান হারানোর ব্যথা নিয়ে আমি আজ আপনাদের কাছে ভোট চাইতে এসেছি। আব্বাসকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আমার সন্তান হারানোর ব্যথা কিছুটা হলেও ভুলে যাওয়ার সুযোগ দেবেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পাশেই ছিলেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পর আফরোজা আব্বাস বেগম জিয়ার গাড়ির পাশে এসে তার সাথে কথা বলেন।
পলওয়েল মার্কেটের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। আপনারা কি ব্যবসা করতে পারছেন? আজ দেশের কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। এ থেকে মুক্তির জন্য আমি আব্বাসের পে ভোট চাই। বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে একই গাড়িতে ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান।
গুলশানের বাসা থেকে আমেরিকান অ্যাম্বেসি সড়ক দিয়ে বাড্ডা প্রগতি সরণি হয়ে রামপুরার কাছে পূর্ব হাজীপাড়ায় একটি সিএনজি স্টেশনে কিছুণের জন্য গাড়িবহর থেমে থাকে। এখানে বেগম জিয়ার গাড়িতে জ্বালানি তেল নেয়া হয়।
কারওয়ান বাজারে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর ৫টি গ্লাস ভাঙা মাইক্রোবাসও গতকাল বহরে ছিল। গাড়িবহরের পেছনে একেবারে শেষ প্রান্তে পুলিশের একটি পেট্রোল পিকআপ ছিল।
ফকিরেরপুলে ফের হামলার একদিন পর খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাত ৮ টা ২০ মিনিটের দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় গণসংযোগ করে ফকিরেরপুল থেকে নয়াপল্টনের দিকে যাওয়ার পথে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এ সময় তার গাড়িবহরে ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়। গাড়িবহর ফকিরেরপুল কাঁচা বাজার সংলগ্ন এলাকায় গেলে এ ঘটনা ঘটে। গাড়িবহরে থাকা একাধিক বিএনপি নেতা জানান, আওয়ামী লীগ কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে।
আবারো খালেদার গাড়িবহরে হামলা : কারওয়ান বাজারের পর গত রাতে ফকিরেরপুল কাঁচাবাজারের কাছে আবারো খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। সরকার সমর্থকেরা কালো পতাকা হাতে আকস্মিকভাবে খালেদা জিয়ার গাড়িকে ল্য করে জুতা, কাচের বোতল ও ইট ছুড়তে থাকে। এ সময় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকা তার প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে নয়াপল্টনের পলওয়েল মার্কেটের সামনে পথসভা শেষে আরামবাগ মোড় হয়ে ফের নয়াপল্টনের দিকে যাচ্ছিলেন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। কিন্তু ফকিরেরপুল কাঁচাবাজারের কাছে পৌঁছলে সেখানকার ফুটপাথ থেকে সরকার সমর্থক ৪০-৫০ জন নেতা-কর্মী কালো পতাকা হাতে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘ছি ছি খালেদা’ স্লোগান দিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে ইট, জুতা ছুড়ে মারে। কয়েকজন কর্মীকে কাচের বোতলও ছঁড়তে দেখা গেছে।
ওই সব ইট খালেদা জিয়ার গাড়িতে না লাগলেও তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাদা পিকআপ ভ্যানের ওপর পড়ে। এ ছাড়া আরো তিন-চারটি গাড়িতে ইট এসে পড়ে।
তখন হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা করা হয়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সাঈদ খোকনসহ স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থী যুব ীগের এ কে এম মোমিনুল হক সাঈদের নেতৃত্বে দেশনেত্রীর গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। আপনারা (নয়াপল্টনবাসী) ২৮ এপ্রিল ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দেবেন। এ সময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ঘিরে থাকা কয়েক শ নেতাকর্মী যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীদের ধাওয়া দিলে তারা ফকিরেরপুল বাজারের ভেতরে ঢুকে যায়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে নয়াপল্টন এলাকায় অবস্থানরত বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী রাস্তায় নেমে আসেন। খালেদা জিয়ার গাড়িবহরকে কর্ডন করে গাড়িবহরকে নয়াপল্টনের কার্যালয় দিয়ে কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেস্তোরাঁর কাছে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রচারণা শেষ করে রাত সোয়া ৯টায় গুলশানের বাসায় পৌঁছান বলে জানান শায়রুল কবির খান।
খালেদার গাড়িবহরে হামলার নিন্দা
ইউট্যাব : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনী গণসংযোগকালে তার গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে ইউট্যাবের ৬২৫ শিক্ষক তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে তার গাড়িবহরে হামলা এবং ভাঙচুর ও নেতাকর্মীকে আহত করার যে ঘটনা সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা করেছেন তার নিন্দা করার ভাষা নেই। বর্তমান সরকার রাজনীতির সব শিষ্টাচার ভঙ্গ করে এমন ঘটনার জন্ম দিয়েছে যা সমগ্র জাতিকে হতবাক করেছে।
শিক্ষকেরা হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নির্বাচনী প্রচারকাজে বাধা না দেয়া ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনের অন্তত সাত দিন আগে সেনা মোতায়েনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে জোর দাবি জানান।
ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার এবং মহাসচিব অধ্যাপক তাহমিনা আখতার টফি ছাড়াও বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকেরা হলেনÑ অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ, এম ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো: মোর্শেদ হাসান খান, ড. গোলাম রব্বানী, ড. আবুল হাসনাত, ড. মাহফুজুল হক, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. আল মুজাদ্দেদী আলফেছানী, ইস্রাফিল প্রামাণিক রতন, ড. আ ন ম মুনীর আহমদ চৌধুরী, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী (চবি), ড. এম এ বারি মিয়া, নজরুল ইসলাম, কে এম শাহাদাত (রাবি), ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট), ডা: সাইফুল ইসলাম (বিএসএমএমইউ), ড. গোলাম আরিফ কেনেডি (বাকৃবি), আ ফ ম আরিফুর রহমান (নোবিপ্রবি), ড. হারুন অর রশীদ (খুবিপ্রবি), বেলাল হোসেন (কুবি), ড. মো: মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সাদা দল : অপর দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের শিক্ষকেরা আরেকটি বিবৃতিতে এমন ঘটনা ঘটায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান তারা। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- সাদা দলের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো: আমিনুর রহমান মজুমদার এবং অধ্যাপক ড. মো: সিরাজুল ইসলাম, ড. সদরুল আমিন, ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ, ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, ড. মো: আনোয়ারুল ইসলাম, ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. মো: আখতার হোসেন খান, ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. আবুল হাসনাত, ড. মোর্শেদ হাসান খান, লুৎফুর রহমান, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. আবদুর রশিদ, ড. মো: নুরুল ইসলাম, ড. মামুন আহমেদ, ড. মো: সাইফুল ইসলাম, ড. মো: খলিলুর রহমান, ড. সুকোমল বড়ুয়া, ইসরাফিল প্রাং, ড. আবদুল আজিজ, অধ্যাপক মো: আতাউর রহমান মিয়াজী, মো: নুরুল ইসলাম, আবু আহমেদ, আহমেদ জামাল আনোয়ার, এ বি এম শহিদুল ইসলাম, তাহমিনা আখতার, ড. মো: আবদুর রব প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.