সর্বকালের শীর্ষ ৬ ব্যবসা পথিকৃতের তালিকায় ড. ইউনূস

অর্থনীতিতে সর্বকালের শীর্ষ ছয় ব্যবসা পথিকৃতের তালিকায় স্থান পেয়েছে নোবেল জয়ী বাংলাদেশী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইউকেভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ‘বিজনেস পাইওনিয়ার্স ইন ফাইন্যান্স’ ক্যাটাগরিতে ড. ইউনূসকে বেছে নিয়েছেন। অর্থনীতির ব্যবসা পথিকৃতের অভিজাত এ তালিকায় আরও রয়েছেন ওয়ারেন বাফেট, আমাদের জিয়ান্নিনি, হেনরি ক্রাভিস, জন পিয়েরপন্ট মর্গান এবং মেয়ার আমশেল রথচাইল্ডের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব। এ ছাড়া কয়েকটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বকালের ৫০ জন ব্যবসা পথিকৃতের তালিকা প্রস্তুত করেছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। এর মধ্যে কয়েকটি হলো- বিজনেস পাইওনিয়ার্স ইন ইন্ডাস্ট্রি, বিজনেস পাইওনিয়ার্স ইন টেকনোলজি ও বিজনেস পাইওনিয়ার্স ইন এনার্জি। অর্থনীতির ব্যবসা পথিকৃতের বিবরণে ড. ইউনূস সম্পর্কে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্রঋণ হয়তো তিনি উদ্ভাবন করেননি, কিন্তু আধুনিক বিশ্বে এর সঙ্গে সব থেকে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তি তিনি। ১৯৭৬ সালে তিনি দরিদ্রদের মধ্যে বিশেষ করে নারীদের কাছে কোনপ্রকার জামানত বা নিরাপত্তা ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া শুরু করেন। সেটাই পরে গ্রামীণ ব্যাংকের ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৩ সাল নাগাদ ব্যাংকটি সর্বমোট ১৬০ কোটি ডলার পরিমাণ ৭০ লাখ ঋণ দিতে সক্ষম হয়। এর পর থেকে ব্যাংকটির মডেলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গৃহীত হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও। তার এ প্রচেষ্টায় ইউনূস ও তার ব্যাংকটি যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। ব্যবসা পথিকৃত তালিকা প্রস্তুতের পেছনে বিশেষজ্ঞ জুরিরা ড. ইউনূসের অবদান সম্পর্কে যে উপসংহার টেনেছেন তা হলো, ইউনূসের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হলো বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য মিটিয়ে ফেলা। সেই লক্ষ্য শুধু ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যাবে না। কিন্তু তা অর্জনে অব্যাহত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক দেখিয়েছে, ক্ষুদ্রঋণকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.