তবু তাঁদের আশা মেয়ে বেঁচে আছে

ইউক্রেনে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি ২৯৮ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই বলেই সবাই এখন নিশ্চিত। তবে তা মানতে নারাজ জারজি ও অ্যাঞ্জেলা ডিকজিনস্কি। অস্ট্রেলীয় এই দম্পতির বিশ্বাস, ওই উড়োজাহাজের যাত্রী তাঁদের ২৫ বছর বয়সী মেয়ে ফাতিমা এখনো বেঁচে আছেন। এই আশায় বুক বেঁধে ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তাঁরা। খবর এএফপির। ১৭ জুলাই মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমএইচ-১৭ নেদারল্যান্ডস থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। দেশটির রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সেটিকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভূপাতিত করে বলে ধারণা করা হয়। ওই উড়োজাহাজটির যাত্রী ছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানী ফাতিমা।
বাবা-মাকে দেখতে তিনি অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে যাচ্ছিলেন। ফাতিমার বাবা চিকিৎসক জারজি নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অবস্থানকালে অস্ট্রেলীয় সংবাদপত্র দি অস্ট্রেলিয়ানকে বলেন, ‘আমরা এখনো বিশ্বাস করি, সে বেঁচে আছে। তাই আজ আমরা তাকে খুঁজতে দোনেৎস্ক যাচ্ছি।’ জারজি মনে করেন, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ফাতিমা হয়তো উড়োজাহাজটি থেকে সজোরে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। আর তিনি যদি নিজের সিটের সঙ্গে সিটবেল্ট দিয়ে বাঁধা অবস্থায় থেকেই যান, তাহলে সেটা মাটিতে আছড়ে পড়ার সময় আঘাত পাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।’ রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা ইউক্রেনের দোনেৎস্ক এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তার পরও নিজেদের একমাত্র সন্তানকে খুঁজতে সেখানে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ওই দম্পতি।

No comments

Powered by Blogger.