তিয়ানআনমেনে শোক বেইজিংয়ে উত্তেজনা

তিয়ানআনমেন হত্যাকান্ডের ২৫ তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শোক নগরীতে পরিনত হয়েছে হংকং। অন্যদিকে, সম্ভাব্য বিক্ষোভ-বিশৃংখলা ঠেকাতে রাজধানী বেইজিংসহ চীনের বিভিন্ন প্রদেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। অসস্বস্তিতে পড়েছে সরকার। তিয়ানআনমেন স্কয়ারসহ রাজধানী বেইজিংজুড়ে ব্যাপক পরিসরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। দিবসটি আসার আগে থেকেই সম্প্র্রতি কয়েক সপ্তাহজুড়ে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমনাভিযান চালিয়েছে সরকার। আটক করা হয়েছে অনেককে। বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে ইন্টারনেটে। তিয়ানআনমেনে মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। বিদেশী সাংবাদিকদের তিয়ানআনমেনে ঢুকতেও বাধা দেয়া হচ্ছে। ১৯৮৯ সালের ৪ জুন তিয়ানআনমেন স্কয়ারে সমবেত সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনাভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় কয়েক হাজার লোক হতাহত হয়। গ্রেফতার হয় আরও শত শত মানুষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল রাজনৈতিক সংস্কার।
কিন্তু চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কট্টরপন্থীরা ক্ষমতার লড়াইয়ে জিতে যাওয়ার পর দমনাভিযানের নির্দেশ দেয়া হয়। ১৯৮৯ সালের ওই বিক্ষোভকে কর্তৃপক্ষ বিপ্লববিরোধী দাঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত করে ওই দিবস স্মরণে বাধা-নিষেধ আরোপ করেছে। ফলে দিবসটি আসার আগে থেকেই ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু চীনের মূল ভূখণ্ডে দিবসটি কখনও প্রকাশ্যে পালন করতে দেয়া না হলেও প্রতিবছরই এ দিবস পালন করে আসছে হংকং (১৯৯৭ সালে চীনা শাসনে ফেরা)এবং স্বশাসিত তাইওয়ান (যাকে চীন তাদের অংশ বলে দাবি করে আসছে)। তিয়ানআনমেন হত্যাকাণ্ডে নিহত মানুষের কোনো পরিসংখ্যান চীন সরকার কখনও প্রকাশ করেনি। তবে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের হিসাব মতে, এ সংখ্যা কয়েকশ থেকে কয়েক হাজার। ওই হত্যাকাণ্ডের ২৫ বছর পর আবারও সরকারের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার শিকার হয়েছে আইনজীবী, সাংবাদিক ও ভিন্নমতাবলম্বী কর্মীরা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ৬৬ জনকে আটক, জেরা কিংবা গুম করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.