ম্যারাডোনার ‘অতিরিক্ত’ নারী প্রীতিতে বিরক্ত দুবাইবাসী

অতিরিক্ত নারী প্রীতির কারণে দুবাইবাসীদের নিকট সমালোচিত হচ্ছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ডিয়াগো ম্যারাডোনা।
দুবাই শহরের শুভেচ্ছাদূত ম্যারাডোনার একাধিক নারীর সাথে ঘনিষ্ট মেলামেশাকে ঠিক ভাল চোখে দেখছেন না স্থানীয়রা।ম্যারাডানো ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ফুটবল মাঠের ন্যায় নারীদের মনেও সমানে দাপিয়ে বেড়ান তিনি। যেখানেই থাকুন না কেন, কখনোই তার মেয়ে বন্ধুর অভাব হয়নি। সম্প্রতি দুবাই শহরে বাস করা ম্যারাডোনার প্রেম পর্ব চলছে সমানে।দুবাই শহরের ফুটবলকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে ম্যারাডোনাকে সম্মানিত শুভেচ্ছাদূত করেছে শহরটি। কিন্তু খেলার চেয়ে ম্যারাডোনার মনোযোগ বেশি নারীর প্রতিই। দুবাই শহরের নানান সুইমিংপুল, সীবিচ, রেস্তোরাঁ ও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নারীর সাথে দেখা গেছে তাকে। এই সময় ম্যারাডোনা ও তার বান্ধবীদের ঘনিষ্ট কিছু ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রায়শ অর্ধনগ্ন এই সব ছবি ইসলামী শরীয়া মেনে চলা দুবাই শহরের কর্তাদের নজরে এসেছে। তারা এই কাজকে দেখছেন দুবাই শহরের নীতি বিরুদ্ধ কাজ হিসেবে। ম্যারাডোনার এই সকল ছবি নিয়ে শহরটির নাগরিকরা বিরক্ত বলেই সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে ।তবে অতিরিক্ত নারী আসক্তির কারণে ম্যারাডোনার সমালোচনা করলেও শহরটির পরিচালনা শুরা সদস্যরা ম্যারাডোনার সাথে চুক্তি বাতিলের পক্ষে না। তাই, সম্পূর্ণ মেয়াদেই তিনি শহরটির খেলাধূলা বিষয়ক শুভেচ্ছাদূত থাকছেন।
আর্জেন্টিনার সাবেক অধিনায়ক ম্যারাডোনা ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ খেলেছেন। এছাড়া ২০১০ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ম্যারাডোনা দুবাই শহরের একটি ক্লাবেরও কোচ ছিলেন। প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল না পাওয়ায় তাকে বহিষ্কার করে আল-ওয়াসল ক্লাবটি।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ম্যারাডোনাকে দুবাই শহরের খেলাধূলা সম্মানিত শুভেচ্ছাদূত করেছেন শহরটির প্রশাসকরা।এছাড়া তিনি দুবাই শহরের দুটি জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হিসেবেও কাজ করছেন।

No comments

Powered by Blogger.