কখনও কি ভেবে দেখেছ? by সাঈফ আবেদীন
‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।’ কবি কুসুমকুমারী দাশের শিশু-কিশোরদের উজ্জীবিত করার জন্য লেখা এ কবিতাটি স্নেহধন্য পুত্র জীবনানন্দ দাশকে প্রত্যহ শোনাতেন। জীবনানন্দ দাশ জননীর কবিতাটির মতো ‘সেই ছেলে’ হয়েছেন।
আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীরা কি পারেন না এমনটি হতে? নিশ্চয়ই পারেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে, এক কাতারে শামিল হয়ে ’৭১-এ আমরা পাক হানাদারদের পরাজিত করে পৃথিবীর মানচিত্রে একটু জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছি। সেদিন ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তকণিকা জমাটবদ্ধ হয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে ছোট একটি দ্বীপ তৈরি করেছিল। স্বাধীন দেশ। পত্্পত্্ করে উড়ে আমাদের লাল সবুজের পতাকা। বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন এ দেশটিকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তর করার স্বপ্ন দেখছেন, ঠিক তখনই এ দেশের তরুণ সমাজের নানা কুকর্মের খবর পুরোদমে প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। চারদিকে নানা খবরÑ ‘ইভটিজিংয়ে কলেজ বা স্কুলছাত্র গ্রেফতার’, ‘৬ মাস বা ১ বছরের কারাদ-’, ‘নেশাগ্রস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র গ্রেফতার।’ এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে দেশের আনাচেকানাচে। আর এতে করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের দুর্নাম ছড়িয়ে পড়ছে দেশ-বিদেশে। বর্তমানে ইন্টারনেটের এ যুগে একটি খবর পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড।
এদেশে পূর্বে তরুণদের এমন অধঃপতন ছিল না। তখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকা-েও জড়িত ছিলেন। একটি দেশ ও একটি জাতির প্রথম পরিচয় হলো তার ‘সংস্কৃতি’। তখন বই পড়ার প্রচলনও ছিল। একে অপরে সহপাঠীদের কাছ থেকে বই ধার করে পড়তেন। আর যাদের বই কেনার সামর্থ্য থাকত তারা পছন্দের বইটি কিনে ফেলতেন। কিন্তু এখন আমাদের তরুণ সমাজ অনেকটা বদলে গেছে। বই পড়ার সময় তাদের নেই। আকাশ সংস্কৃতি গ্রাস করে ফেলেছে তাদের। বিদেশী সংস্কৃতির বেড়াজালে আটকে পড়েছে তারা। আর ঐ সব সংস্কৃতি অনুসরণ ও অনুকরণ করে তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির গ-ির বাইরে চলে যাচ্ছে। এ কারণে আমাদের তরুণরা খুব সহজেই অশালীন কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু এত কিছুর পরও কি তরুণ সমাজকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে? দিন দিন যেন কেউ কেউ বিদ্রোহী হয়ে উঠছে।
এটা আমাদের দেশ ও সমাজের জন্য কখনোই হিতকর নয়। তবে সরকারী পদক্ষেপ যদি কিছুটা সফল হয় তাহলে উপকৃত হবে সমাজ-রাষ্ট্র। সরকার ইচ্ছে করলে তরুণ সমাজকে বই পড়ার প্রতি মনোনিবেশ করাতে নানা পদক্ষেপ নিতে পারে। তারা বইয়ে বুঁদ হয়ে থাকলে অবশ্যই জ্ঞানের ভা-ার তাদের সামনে খুলে যাবে। তারাও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সৈনিকে পরিণত হবে। সারাবিশ্বে আমরা পরিচিত শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ’ নামক দেশটির জন্য। আর এ দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য ত্রিশ লাখ বাঙালী রক্ত দিয়েছেন।
এদেশে পূর্বে তরুণদের এমন অধঃপতন ছিল না। তখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকা-েও জড়িত ছিলেন। একটি দেশ ও একটি জাতির প্রথম পরিচয় হলো তার ‘সংস্কৃতি’। তখন বই পড়ার প্রচলনও ছিল। একে অপরে সহপাঠীদের কাছ থেকে বই ধার করে পড়তেন। আর যাদের বই কেনার সামর্থ্য থাকত তারা পছন্দের বইটি কিনে ফেলতেন। কিন্তু এখন আমাদের তরুণ সমাজ অনেকটা বদলে গেছে। বই পড়ার সময় তাদের নেই। আকাশ সংস্কৃতি গ্রাস করে ফেলেছে তাদের। বিদেশী সংস্কৃতির বেড়াজালে আটকে পড়েছে তারা। আর ঐ সব সংস্কৃতি অনুসরণ ও অনুকরণ করে তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির গ-ির বাইরে চলে যাচ্ছে। এ কারণে আমাদের তরুণরা খুব সহজেই অশালীন কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু এত কিছুর পরও কি তরুণ সমাজকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে? দিন দিন যেন কেউ কেউ বিদ্রোহী হয়ে উঠছে।
এটা আমাদের দেশ ও সমাজের জন্য কখনোই হিতকর নয়। তবে সরকারী পদক্ষেপ যদি কিছুটা সফল হয় তাহলে উপকৃত হবে সমাজ-রাষ্ট্র। সরকার ইচ্ছে করলে তরুণ সমাজকে বই পড়ার প্রতি মনোনিবেশ করাতে নানা পদক্ষেপ নিতে পারে। তারা বইয়ে বুঁদ হয়ে থাকলে অবশ্যই জ্ঞানের ভা-ার তাদের সামনে খুলে যাবে। তারাও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সৈনিকে পরিণত হবে। সারাবিশ্বে আমরা পরিচিত শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ’ নামক দেশটির জন্য। আর এ দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য ত্রিশ লাখ বাঙালী রক্ত দিয়েছেন।
No comments