বিশেষজ্ঞদের অভিমত-সালাফিপন্থীদের উত্থান বাড়ছে আরব বিশ্বে
'আরব বসন্ত'-পরবর্তী আরব বিশ্বের দেশগুলোতে সালাফিপন্থীদের প্রভাব বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্র 'ইনোসেন্স অব মুসলিমস'কে কেন্দ্র করে আবারও উত্তাল মুসলিম দেশগুলো। এ অবস্থায় চলমান মার্কিনবিরোধী বিক্ষোভ সালাফিপন্থীদের উত্থান ত্বরান্বিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিক্ষোভে প্রধানত মিসর, লিবিয়া ও তিউনিসিয়ায় তাদের বিস্ময়কর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সালাফিপন্থীরা সুনি্ন মতাবলম্বী মুসলিম। তারা তাদের 'ধার্মিক পূর্বপুরুষদের' ঐতিহ্য মেনে কঠোর নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করে। সালাফিপন্থীরা অধিকাংশই নির্বিরোধ। তবে বর্তমানে এদের কেউ কেউ শক্তি প্রয়োগে বিশ্বাসী হয়ে উঠছে। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে এদের সহিংস জিহাদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। প্যারিসের সায়েন্স পো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জঁ্য-পিয়েরে ফিলজু বলেন, তারা 'ধর্মীয় পবিত্রতা বিনষ্টের' অজুহাতে এখন রাস্তায় নেমে শক্তিতে একটা ভারসাম্য আনতে চায়। এর প্রমাণ লিবিয়ায় তারা কয়েকটি মাজারে হামলা চালিয়েছে। তবে 'আরব বসন্ত'-পূর্ববর্তী অনেক দেশেই তাদের কঠোরভাবে দমিয়ে রাখা হতো। তিউনিসিয়ায় সালাফিপন্থীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সাবেক শাসক জাইন এল আবিদিন বেন আলীর সময়ে।
আল-জাজিরা সেন্টার ফর স্টাডিজের জ্যেষ্ঠ গবেষক বশির নাফি মনে করেন, কোনো কোনো দেশ মূলত মুসলিম ব্রাদারহুডকে দুর্বল করতে সালাফিপন্থীদের মাঠে নামতে অনুপ্রাণিত করছে। তাঁর মতে, সালাফিপন্থীরা মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী সংগঠন নয়। তারা মূলত তাদের ধর্মীয় নেতাদের কেন্দ্র করে ছোট ছোট গ্রুপ হয়ে আছে। ধর্মীয় বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। এ প্রসঙ্গে 'অ্যাওয়েকেনিং ইসলাম : দি পলিটিকস অব রিলিজিয়াস ডিসেন্ট ইন কনটেম্পোরারি সৌদি অ্যারাবিয়া' বইয়ের লেখক স্টেফানে ল্যাকরোয়েক্স বলেন, 'তাদের (সালাফিপন্থী) রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রাথমিক অবস্থায়ই রয়ে গেছে। তাদের অগ্রাধিকারের বিষয় হলো ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কারের ব্যাপারটি।' ল্যাকরোয়েক্সের মতে, লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার মতো যেসব দেশে 'সালাফিপন্থীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ছিল না', সেসব দেশে তারা বেশি সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করবে।
বশির নাফিও অনেকটা একই কথা বলেন। সালাফিপন্থীদের উপস্থিতি বাড়ার পক্ষে তিনি মিসরের পার্লামেন্ট নির্বাচনের উদাহরণ টানেন। হোসনি মুবারকের উৎখাতের পর অনুষ্ঠিত প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচনে সালাফিপন্থীরা ২৫ শতাংশ আসন পেয়েছে। লিবিয়ায় বেনগাজির মার্কিন কনস্যুলেটের হামলার ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে। এর অর্থ শক্তিপ্রয়োগের ব্যাপারটি তারা আমলে নিতে শুরু করেছে। তবে এই উত্থানের ব্যাপারটি স্থায়িত্ব পাবে না মনে করেন বশির। সূত্র : এএফপি
সালাফিপন্থীরা সুনি্ন মতাবলম্বী মুসলিম। তারা তাদের 'ধার্মিক পূর্বপুরুষদের' ঐতিহ্য মেনে কঠোর নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করে। সালাফিপন্থীরা অধিকাংশই নির্বিরোধ। তবে বর্তমানে এদের কেউ কেউ শক্তি প্রয়োগে বিশ্বাসী হয়ে উঠছে। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে এদের সহিংস জিহাদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। প্যারিসের সায়েন্স পো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জঁ্য-পিয়েরে ফিলজু বলেন, তারা 'ধর্মীয় পবিত্রতা বিনষ্টের' অজুহাতে এখন রাস্তায় নেমে শক্তিতে একটা ভারসাম্য আনতে চায়। এর প্রমাণ লিবিয়ায় তারা কয়েকটি মাজারে হামলা চালিয়েছে। তবে 'আরব বসন্ত'-পূর্ববর্তী অনেক দেশেই তাদের কঠোরভাবে দমিয়ে রাখা হতো। তিউনিসিয়ায় সালাফিপন্থীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সাবেক শাসক জাইন এল আবিদিন বেন আলীর সময়ে।
আল-জাজিরা সেন্টার ফর স্টাডিজের জ্যেষ্ঠ গবেষক বশির নাফি মনে করেন, কোনো কোনো দেশ মূলত মুসলিম ব্রাদারহুডকে দুর্বল করতে সালাফিপন্থীদের মাঠে নামতে অনুপ্রাণিত করছে। তাঁর মতে, সালাফিপন্থীরা মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী সংগঠন নয়। তারা মূলত তাদের ধর্মীয় নেতাদের কেন্দ্র করে ছোট ছোট গ্রুপ হয়ে আছে। ধর্মীয় বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। এ প্রসঙ্গে 'অ্যাওয়েকেনিং ইসলাম : দি পলিটিকস অব রিলিজিয়াস ডিসেন্ট ইন কনটেম্পোরারি সৌদি অ্যারাবিয়া' বইয়ের লেখক স্টেফানে ল্যাকরোয়েক্স বলেন, 'তাদের (সালাফিপন্থী) রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রাথমিক অবস্থায়ই রয়ে গেছে। তাদের অগ্রাধিকারের বিষয় হলো ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কারের ব্যাপারটি।' ল্যাকরোয়েক্সের মতে, লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার মতো যেসব দেশে 'সালাফিপন্থীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ছিল না', সেসব দেশে তারা বেশি সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করবে।
বশির নাফিও অনেকটা একই কথা বলেন। সালাফিপন্থীদের উপস্থিতি বাড়ার পক্ষে তিনি মিসরের পার্লামেন্ট নির্বাচনের উদাহরণ টানেন। হোসনি মুবারকের উৎখাতের পর অনুষ্ঠিত প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচনে সালাফিপন্থীরা ২৫ শতাংশ আসন পেয়েছে। লিবিয়ায় বেনগাজির মার্কিন কনস্যুলেটের হামলার ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে। এর অর্থ শক্তিপ্রয়োগের ব্যাপারটি তারা আমলে নিতে শুরু করেছে। তবে এই উত্থানের ব্যাপারটি স্থায়িত্ব পাবে না মনে করেন বশির। সূত্র : এএফপি
No comments