এনবিআরের প্রজ্ঞাপন-শেয়ারে অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে না

বৈধ উপায়ে অপ্রদর্শিত আয় শেয়ার-বাজারে বিনিয়োগ করলে কোনো প্রশ্ন করবে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সংস্থাটি বলেছে, এনবিআর আইনের বাইরে অন্য কোনো আইনে বর্ণিত অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে অর্জিত আয়ের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনের এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।


এনবিআর কালোটাকা উল্লেখ না করে বলেছে, বৈধ উপায়ে অর্জিত কর অনারোপিত আয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগ করা যাবে। এ জন্য চলতি বছরের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে নির্ধারিত ছকে বিনিয়োগসংক্রান্ত ঘোষণা দিতে হবে। ঘোষণাপত্রের সঙ্গে কর পরিশোধসংক্রান্ত পে-অর্ডার, বিনিয়োগ কোষ বা পোর্টফোলিও বিবরণী এবং বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের লেজার কপিও জমা দিতে হবে। এই ঘোষণার মাধ্যমে বিনিয়োগ করা টাকা ২০১৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উত্তোলন বা স্থানান্তর করা যাবে না।
এ ছাড়া ২০১১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কারও কর ফাঁকি উদ্ঘাটিত হওয়ার পর আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হলে তিনি এই সুবিধা পাবেন না।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় বিনা প্রশ্নে ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেয় এনবিআর। কিন্তু এই সুযোগ নিয়ে যাঁরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের আয়ের উৎস সম্পর্কে সরকারের অন্য সংস্থাগুলো বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রশ্ন করবে কি না, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। বিভ্রান্তি দূর করতেই এ প্রজ্ঞাপন জারি করল এনবিআর।
এদিকে, গত নভেম্বর মাসে মুদ্রা পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের এক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে। সফরকালে প্রতিনিধিদল সরকারের কাছে প্রশ্ন তোলে, পাচার করা অর্থ কিংবা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহূত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হলে তা কীভাবে চিহ্নিত করা হবে। এই সফরের পরই এনবিআর নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে।

No comments

Powered by Blogger.