গাজা অভিমুখী জাহাজে বাধা, ক্যাপ্টেন আটক

গ্রিস থেকে ত্রাণবাহী একটি মার্কিন জাহাজকে গাজায়যেতে বাধা দিয়েছে গ্রিসের উপকূলরক্ষী বাহিনী। তারা ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকেও আটক করেছে। জন ক্লুসমার নামের ওই ক্যাপ্টেন একজন মার্কিন নাগরিক। গতকাল রোববার একজন আইনজীবী বলেছেন, ক্লুসমারকে ‘মানবেতর অবস্থায়’ আটক রাখা হয়েছে।
বিবিসি বলেছে, ক্লুসমারকে এথেন্সের কাছে পিরাইউস বন্দরে পুলিশ সদর দপ্তরের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া বন্দর ত্যাগ এবং যাত্রীদের জীবন বিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁকে আগামীকাল মঙ্গলবার আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অডাসিটি অব হোপ নামের জাহাজটি গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ চ্যালেঞ্জ করে সেখানে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল।
কর্মকর্তারা বলেছেন, গত শুক্রবার গ্রিস বিনা অনুমতিতে তার উপকূল থেকে সব ধরনের জাহাজের গাজা অভিমুখে যাত্রা নিষিদ্ধ করে। তবে সে নিষেধাজ্ঞা না মেনে ওই দিন রাতে জাহাজটি রওনা হয়। এরপর পেরামা বন্দর থেকে উপকূলরক্ষীরা সেটিকে আটক করে। এটিকে এখন একটি নৌঘাঁটিতে নোঙর করে রাখা হয়েছে। জাহাজটিতে ৩৬ জন যাত্রী, চারজন ক্রু ও ১০ জন গণমাধ্যমকর্মী ছিলেন। জাহাজটি থেকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে লেখা তিন হাজার চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি ছাড়া আরও নয়টি ত্রাণবাহী জাহাজের গাজার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্যাপ্টেনকে আটক করা হলেও জাহাজে থাকা অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে রিচার্ড লেভি নামে একজন মার্কিন আইনজীবী ছিলেন।
হাজতখানায় আটক ক্যাপ্টেনকে দেখে এসে লেভি সাংবাদিকদের বলেন, ক্যাপ্টেনকে মানবেতর অবস্থায় আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর কক্ষে কোনো বিছানা বা লাগোয়া বাথরুম নেই। তাঁকে খাবার বা পানি কিছুই দেওয়া হচ্ছে না।
আটক করা জাহাজের অপর যাত্রী রবার্ট নাইম্যান বলেছেন, তাঁরা ক্যাপ্টেনের জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে তাঁদের কাছে মনে হচ্ছে, মঙ্গলবারের আগে তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ওই অঞ্চল অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল ও মিসর। গত বছর সেখানে ত্রাণ দিতে গিয়ে একটি তুর্কি জাহাজ ইসরায়েলের সেনাদের হামলার মুখে পড়েছিল। ওই হামলায় ফিলিস্তিন সমর্থক নয়জন ত্রাণকর্মী নিহত হন।

No comments

Powered by Blogger.