তাঁর মেয়ের চোখেও কান্না

বিশ্বকাপে এই নিয়ে পাঁচবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি। প্রতিবারই পরাজিত দলটির নাম পাকিস্তান। বিশ্বকাপে কিছুতেই ভারত-বাধা কাটিয়ে উঠতে পারছে না পাকিস্তান। ইমরানের পাকিস্তান পারেনি। ওয়াসিম, ওয়াকারের পর আফ্রিদির পাকিস্তানও ব্যর্থ হলো। ভারত এগিয়ে রইল ৫-০ ব্যবধানে।
পরশু ভারতের সাদামাটা বোলিংটাই ‘হঠাৎ অপ্রতিরোধ্য’ হয়ে উঠল পাকিস্তানের বিপক্ষে। অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল, এবার বুঝি কলঙ্ক ঘোচাতে যাচ্ছে ওয়াহাব-মিসবাহরা। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ২৬০ রানের লক্ষ্যটাই মনে হলো এভারেস্ট।
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল আফ্রিদিরা। কাঁদল নিজেরা, কাঁদাল গোটা পাকিস্তানকেও। দুপুরের রঙিন আয়োজন রাত গড়াতেই বিষাদে নীল। নারী-পুরুষ, আবালবৃদ্ধ সবাই শোকে বিহ্বল। মিসবাহ-উল-হক আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির বড় মেয়ে আকসাও যেমন পারল না চোখের পানি ধরে রাখতে। প্রিয় দল হেরে যাওয়ায় ভীষণ দুঃখ পেয়েছে আকসা, ‘আমরা হেরে যাওয়ায় আমি কষ্ট পেয়েছি, দুঃখ পেয়েছি। আমি এতই আবেগপ্রবণ ছিলাম যে ধরেই নিয়েছি আমরা ভারতকে হারাব।’
আর দশজনের মতো আফ্রিদির ছোট মেয়ে আনসার কাঠগড়ায়ও মিসবাহ। পাকিস্তানের ২৯ রানের পরাজয়ের জন্য এই মিডল-অর্ডারের ধীরস্থির ব্যাটিংই দায়ী—বলেছে আনসা, ‘মিসবাহ হঠাৎ করেই বুঝতে পারলেন যে তাঁর রান করা দরকার।’

No comments

Powered by Blogger.