টেন্ডুলকার ‘অবিশ্বাস্য’

ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন শচীন টেন্ডুলকার। এবার টেন্ডুলকার-বন্দনায় যোগ দিলেন কপিল দেব। ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের চোখে টেন্ডুলকার ‘অবিশ্বাস্য’।
বয়স বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে টেন্ডুলকারের ব্যাটেও জ্বলছে আগুনের স্ফুলিঙ্গ। মাঠে নামলেই রান, সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি। কপিলের বিস্ময়ের ঘোর কাটছেই না, ‘গত দুই বছরে টেন্ডুলকার ছিল অবিশ্বাস্য। এই জিনিয়াস অন্য পথে হাঁটছে, সে যত বুড়ো হচ্ছে, সে ততই চ্যাম্পিয়নের মতো খেলছে।’ টেন্ডুলকার-বন্দনা পর্বে কপিল প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী মহেন্দ্র সিং ধোনির দলটিকেও, ‘ভারতের এই দলটি যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। তারা তাদের সামর্থ্যের পুরোটা খেলতে পারেনি। কোনো সন্দেহই নেই, ভারত অন্য যেকোনো দলের চেয়ে ভালো।’
ভারতের সাফল্যের গোপন রহস্য কী? কপিলের উত্তর, ‘কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমস, বিশ্বকাপ—প্রতিটি চ্যাম্পিয়নশিপেই ভারতের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। অবশ্যই আমরা উড়ছি, উড়ছি আর ঔজ্জ্বল্য ছড়াচ্ছি। ভারত এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, পাশাপাশি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল। আমরা টাকা টেবিলে রাখছি এবং আমরা প্রমাণ করছি আমরা ভালোও খেলতে পারি।’
টেন্ডুলকার অনেক আগেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়ে চাপমুক্ত হয়ে খেলে চলেছেন। বিশ্বকাপ-ব্যর্থতার পর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া রিকি পন্টিংও আশায় টেন্ডুলকারের মতো ফর্ম যাবে তাঁর এখন। পন্টিংয়ের সাবেক সতীর্থ শেন ওয়ার্নও মনে করেন, কিংবদন্তি হওয়ার পথে টেন্ডুলকারই হতে পারেন পন্টিংয়ের আদর্শ। ‘রিকি তার সামর্থ্য দিয়ে সবকিছুই করতে পারে। পান্টারের জন্য শচীন টেন্ডুলকার হতে পারে আদর্শ। অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকেই শচীন আবার ফর্ম ফিরে পেয়েছে। তবে এটা পারুক না-পারুক, দীর্ঘদিন ধরেই রিকি অস্ট্রেলিয়ার অসাধারণ এক ক্রিকেটার। সে কিংবদন্তিরূপেই বিদায় নেবে।’

No comments

Powered by Blogger.