বিশ্ব মন্দা তৈরি পোশাকশিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করেছে

বিজিএমইএর এক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার পর বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হয়েছে।বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা ক্রমশ কমতে থাকায় দেশে-বিদেশি মুদ্রা আসার প্রবণতাও দিনদিন কমছে। তাই আগামী দিনে তৈরি পোশাকশিল্পই হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। সরকারের নীতিগত সমর্থন পেলে আগামী তিন বছরে এই খাতে নতুন করে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব হবে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা এসব কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী এলাকায় বিজিএমইএর নবনির্মিত এ কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।বিজিএমইএর সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান মো. আবদুচ ছালাম। এ ছাড়া বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সহসভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রায় ৩০০ তৈরি পোশাকশিল্পের মালিক ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। আবুল কালাম আজাদ বলেন, কিছু ক্ষেত্রে বিদেশি মুদ্রা কমে গেছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে। তবে তৈরি পোশাক খাতকে সরকার খুবই গুরুত্ব দিয়েছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা লেখার আগে সঠিক তথ্য বের করবেন, যাতে মানুষ বিভ্রান্ত না হয়।’তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের প্রতি নজর দিন। কম সুবিধাভোগীদের প্রতি বেশি নজর দিলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এই শিল্পে যেসব সমস্যা আছে, তা জ্ঞান ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য তিনি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। মোহাম্মদ মন্জুর আলম বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ পেলে দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের বিকাশ আরও ত্বরান্বিত হবে।’ মো. আবদুচ ছালাম বলেন, পোশাকশিল্পের মালিকেরা সরকারের আনুকূল্য নয়, নীতিগত সমর্থন চায়। এই শিল্প দেশে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে দেশের চেহারা বদলাতে তৈরি পোশাকশিল্পই যথেষ্ট।আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, গত নভেম্বর থেকে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা শ্রমিকদের বর্ধিত বেতন ও ফি দিতে শুরু করেছেন। তবে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে শ্রমিকেরা বর্ধিত বেতনের সুফল পাবেন না। তিনি পোশাকশ্রমিকদের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

No comments

Powered by Blogger.