আফ্রিদির চোখে ‘স্বপ্নের ফাইনাল’

২ এপ্রিল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে টস করতে নামছেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি!
এ তো ‘স্বপ্নের ফাইনাল’। পাকিস্তান অধিনায়ক আফ্রিদির কাছে এটি শুধু স্বপ্নেরই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটেরও বড় প্রাপ্তি।
‘বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হওয়ার একটি সম্ভাবনা আছে। এটি হলে বিশ্বকাপ, ওয়ানডে ক্রিকেট, এমনকি ক্রিকেটের জন্যই সেটা হবে আদর্শ এক ব্যাপার’—বলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
গ্রুপ পর্বে উপমহাদেশের দুই পরাশক্তি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান পড়েছে দুই গ্রুপে। প্রতি গ্রুপের চারটি দল উঠবে নকআউট পর্বে। দুটি দেশ যদি তাদের সেরা খেলাটা খেলতে পারে, কাঙ্ক্ষিত পথে যদি হয় তাদের যাত্রা, তাহলে ফাইনালেই মুখোমুখি হবে তারা। চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া আফ্রিদি সেই স্বপ্নের ফাইনালের জন্যই দিন গুনছেন, ‘এটা বিশ্ব জোড়া কোটি কোটি মানুষের জন্য দারুণ আনন্দের এক ব্যাপার হবে।’
আফ্রিদি এই স্বপ্নের শেষটা কীভাবে দেখছেন? বলাই বাহুল্য, বিশ্বকাপ ট্রফিটা নিজের হাতে দেখতে চাইবেন। সেই স্বপ্ন তিনি দেখছেন। তবে ভারতের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে নামার আলাদা একটা প্রেরণাও আছে আফ্রিদির কাছে, ‘মুম্বাইয়ের ফাইনালে ভারতকে হারাতে পারা হবে দারুণ এক ব্যাপার। ভারতে ও বিশ্বকাপে ভারতকে হারাতে চাই আমরা। এর আগে বিশ্বকাপে কখনো তাদের হারাতে পারিনি।’
বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ৪টি মাচেই হেরেছে পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে আরেকটা জয় ‘সন্ত্রাসকবলিত’ পাকিস্তানের মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে বলে বিশ্বাস পাকিস্তান অধিনায়কের। বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল পাকিস্তানেও। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত অনিশ্চয়তায় পরে পাকিস্তানকে আয়োজক তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে আইসিসি।
তবে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে না পারলে আফ্রিদি স্বপ্নের উপসংহারটা যেভাবে দেখেন, সেভাবে হবে না। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে আজই বাংলাদেশে রওনা হওয়ার আগের দিন আফ্রিদি বলেছেন, ‘আমরা প্রস্তুতির প্রায় ৯০ শতাংশ সেরে ফেলেছি।’ আফ্রিদির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিপক্ষের শেষ পাওয়ার প্লেতে নিজেদের বোলিং। জানিয়েছেন, এটা নিয়েই এখন কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে তাঁর দল।
স্বপ্নের কথা বলেছেন আফ্রিদি। তাঁকে উত্তর দিতে হয়েছে একটি অপ্রীতিকর প্রশ্নেরও, ভারতের হিন্দু মৌলবাদীদের হুমকি হিসেবে দেখছেন না তো? কোনো হুমকি দেখছেন না পাকিস্তান অধিনায়ক, ‘দুই দেশের মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসে এবং আমি কোনো হুমকি দেখছি না।’

No comments

Powered by Blogger.