ব্যথা নিয়েই খেলবেন পন্টিং

গত চারটি বিশ্বকাপেই ছিলেন তিনি। ছিলেন চারটি ফাইনালেও। এর মধ্যে তিনবারই জিতেছেন শিরোপা, সর্বশেষ দুটো আবার অধিনায়ক হিসেবে। বিশ্বকাপে তাঁর চেয়ে বেশি রান আছে কেবল একজনের। তাঁকে ছাড়া কি বিশ্বকাপকে মানায়! বিশ্বকাপ সত্যিই অনেকখানি রং হারাত রিকি পন্টিংকে ছাড়া।
অ্যাশেজের পার্থ টেস্টে বাঁ হাতের কনিষ্ঠায় চোট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল দ্রুত। পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া শেষে গত সপ্তাহেই ফিরেছেন অনুশীলনে। তার পরও শঙ্কা, বিশ্বকাপের আগে পুরোপুরি ফিট হতে পারবেন কি না। পারলেও ক্রিকেট থেকে এই দূরে থাকায় প্রভাব পড়বে না তো ব্যাটিংয়ে? পন্টিংয়ের বিশ্বাস পড়বে না। ব্যাট হাতে দেখা যাবে সেরা ফর্মের পন্টিংকেই। ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে সিডনি বিমানবন্দরে গত পরশু সন্ধ্যায় বলেছেন, ‘ব্যথা খুব বেশি নেই। যেটুকু আছে সেটাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চলে যাবে। আশার খবর হচ্ছে, গত সপ্তাহে নেটে ব্যাটিংয়ের সময় এই নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।’
টানা চতুর্থ বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে গতকালই ভারতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া দল। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা বেঙ্গালুরুতে। প্রস্তুতি ম্যাচ দুটোর সময় অবশ্য পুরোপুরি যাবে না পন্টিংয়ের ব্যথা, কিন্তু ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুযোগটা হাতছাড়া করতে চান না পন্টিং, খেলতে চান দুটি ম্যাচেই। এ জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও নিচ্ছেন, আঙুলে পরবেন বিশেষ এক ধরনের গার্ড। এ জন্য অবশ্য খানিকটা ত্যাগ স্বীকারও করতে হতে পারে তাঁকে, ফিল্ডিং করতে পারবেন না প্রিয় স্লিপ পজিশনে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজটায় খেলতে পারেননি, তার পরও ইংল্যান্ডকে ৬-১-এ হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের পারফরম্যান্সের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন পন্টিং। এই জয়ে অ্যাশেজ হারানোর শোক কিছুটা হলেও ভুলেছেন তাঁরা। গত বছরটা বাজে কাটানো অস্ট্রেলিয়া কি এবারও বিশ্বকাপের সুবাস পেয়ে জেগে উঠল?
বিশ্বকাপে টানা ২৯ ম্যাচে অপরাজিত অস্ট্রেলিয়ার এবারের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হচ্ছে ২১ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আহমেদাবাদের ম্যাচ দিয়ে।

No comments

Powered by Blogger.