হেনিনকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন সানিয়া

একজনের নামের পাশে ৭টি গ্র্যান্ড স্লাম। অন্যজনের গ্র্যান্ড স্লামে সেরা সাফল্য বলতে একবার মাত্র চতুর্থ রাউন্ডে ওঠা। একাদশ বাছাই জাস্টিন হেনিনের সঙ্গে অবাছাই সানিয়া মির্জার দ্বৈরথে ধুন্ধুমার লড়াই আশা করা যেত না। তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের উদ্বোধনী দিনে বর্তমান চ্যাম্পিয়নকে ভালোই ভুগিয়েছেন ভারতীয় টেনিস-কন্যা। প্রথম সেট ৭-৫ ব্যবধানে জিতে তো প্রথম দিনেই বড় এক অঘটনের আভাস দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় সেটেও দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন পাকিস্তানি-বধূ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেনিনের অভিজ্ঞতারই জয় হয়েছে।
৫-৭, ৬-৩, ৬-১ গেমে ম্যাচ জিতে বেলজিয়ান তারকা পা রেখেছেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। পিছিয়ে পড়েও জয় নিয়ে কোর্ট ছাড়তে পারাটা স্বস্তির। ম্যাচ শেষে হেনিনের কণ্ঠে শোনা গেল টেনিসেরই জয়গান। সেই ১২ বছর বয়সে মা মারা যাওয়ায় বেড়ে উঠেছেন মানসিক কষ্টের ভেতর দিয়ে। ২০০৭ সালে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে কাটাচ্ছেন একাকী জীবন। হেনিন বললেন, টেনিসই তাঁর মানসিক যন্ত্রণার উপশম করেছে, ‘এটা আমার জীবনে অনেক সাহায্য করেছে।’
কাল প্রথম দিনে বাছাই খেলোয়াড়দের মধ্যে হেরেছেন শুধু নিকোলাই ডেভিডেঙ্কো আর যুক্তরাষ্ট্রের স্যাম কুরে। পঞ্চমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের আশায় আসা রজার ফেদেরার প্রথম রাউন্ডেই দেখিয়েছেন ফেদেরার-সুলভ মহিমা। স্লোভাক লুকাস ল্যাকোর বিপক্ষে প্রথম পয়েন্টটি তুলে নেন দুর্দান্ত ব্যাকহ্যান্ড ড্রপ ভলিতে। রড লেভার অ্যারেনায় মাত্র ৮৪ মিনিটেই সুইস মাস্টার তুলে নিয়েছেন ৬-১, ৬-১, ৬-৩ গেমের জয়। তৃতীয় বাছাই নোভাক জোকোভিচ ৬-১, ৬-৩, ৬-১ গেমে হারিয়েছেন মার্সেল গ্রানোলার্সকে।
মহিলা এককে দ্বিতীয় রাউন্ডে হেনিনের সঙ্গী শীর্ষ বাছাই ক্যারোলিন ওজনিয়াকি, ভেনাস উইলিয়ামস, মারিয়া শারাপোভা। আর্জেন্টাইন জিসেলা দুলকোকে ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন ওজনিয়াকি। থাইল্যান্ডের তামারিন তানাসুগার্নের বিপক্ষে শুরুতে স্নায়ুচাপে ভুগলেও শারাপোভা জিতেছেন ৬-১, ৬-৩ গেমে। ছোট বোন সেরেনার অনুপস্থিতিতে এবার ভেনাসের কাঁধেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশার ভার। সেই প্রত্যাশায় ভেনাস হাঁটা শুরু করলেন ইতালির সারা এরানিকে ৬-৩, ৬-২ গেমে হারিয়ে।
এ ছাড়া পুরুষ এককে অ্যান্ডি রডিক, ফার্নান্দো ভারদাস্কো, জাইলস মনফিলস, মহিলা এককে সভেৎলানা কুজনেৎসভা, লি না, ইয়ানিনা উইকমায়াররাও কেটেছেন দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট।

No comments

Powered by Blogger.