গল্পালোচনা- ট্রেন by আতাউস সামাদ

খনো মনে পড়ে, ষাট-সত্তর বছর আগে সেই ছোটবেলায় ট্রেনে চড়তে একেবারেই ভয় পেতাম না। হাওড়া, শিয়ালদা, ভৈরব, শিলিগুড়ি_এসব জায়গার নামই শিখেছিলাম ট্রেনের জন্য ভালোবাসার দরুন। হাওড়া আর শিয়ালদা স্টেশনে ব্রডগেজ লাইন। ওই লাইনের ট্রেনের বগি বড়, কম্পার্টমেন্ট চওড়া এবং দরজা-জানালা ভারী। ব্রডগেজ ট্রেনের ইঞ্জিনগুলো দেখলে মনে হতো এগুলোই যেন দৈত্য। সেই আমলের স্টিম ইঞ্জিন, যার পেটে কয়লার আগুন আর চোঙ্গা দিয়ে কালো ধোঁয়া বের হতো, রূপকথার বইয়ে দৈত্যের হাতে আঁকা ছবির সঙ্গে সেই ইঞ্জিনের বেশ মিল পেতাম।
শিলিগুড়ির কথা বেশি করে মনে পড়ে লাইট ট্রেনের জন্য। ওই ট্রেনে দার্জিলিং যাওয়া যেত। আমাদের ঢাকার শিশুপার্কের ট্রেনটা দেখলে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং লাইনের ট্রেনটার কথা মনে পড়ে। পাহাড়ের চারদিকে কুণ্ডলীর মতো করে পাকানো রেললাইন ধরে ওপরে ওঠার জন্য হালকা ট্রেনের ব্যবস্থা ছিল সেখানে। ভারী ট্রেনের জন্য চওড়া লাইন বসানো সম্ভব ছিল না। ওই দুই ছোট-বড় সাইজের মাঝামাঝি হলো মিটারগেজ ট্রেন। ব্রডগেজ আর লাইট ট্রেনের জন্য যে জায়গাগুলোর নাম বললাম সেগুলো এখন প্রতিবেশী দেশ ভারতে। আমাদের বাংলাদেশে পদ্মা-যমুনার পশ্চিম দিকের ট্রেনগুলো ব্রডগেজ আর পূর্ব দিকেরগুলো মিটারগেজ, যমুনা ব্রিজ থেকে ঢাকা পর্যন্ত লাইনটা ছাড়া। ব্রিটিশরা ভারত ছাড়ার আগে বড়দের সঙ্গে যখন কলকাতা ও জলপাইগুড়ি থেকে কিশোরগঞ্জ জেলায় আমাদের গ্রামের বাড়ি সতেরদরিয়া যাওয়ার জন্য নীলগঞ্জ স্টেশনে আসতাম, তখন যমুনা পার হয়ে ময়মনসিংহ বা ভৈরব দিয়ে যেতে হতো। সেই সুবাদে খুব ছোটবেলাতেই ওই দুই স্টেশনের নাম মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। তখনই শিখেছিলাম দুটো স্টেশনই জংশন। একসঙ্গে অনেক ট্রেন যাওয়া-আসা করতে পারে জংশন দিয়ে। সে যা-ই হোক না কেন_আমাদের মাথায় ঘুরত 'ছোট ট্রেনের বড় স্টেশন' এমন একটা কথা। বড় হয়ে বুঝেছিলাম, ট্রেনের জন্য মনে মনে একটা গভীর ভালোবাসা জন্মে গেছে বলেই নানা ট্রেনের নানা ছবি স্মৃতিতে গেঁথে আছে। মাঝেসাঝে বিদেশে গেলে যেখানে গেছি সেখানকার ট্রেনে চড়েছি। যে দেশে ট্রেনে ওঠার সুযোগ হয়নি সেসব দেশে কোনো না কোনো রেলস্টেশনে গিয়ে তাদের ট্রেন দেখে এসেছি। আমার বন্ধু মার্ক টালিও ট্রেন খুব ভালোবাসেন। তিনি ঠাট্টা করে বলতেন, যেখানে ট্রেন নেই সেখানে সভ্যতা পেঁৗছায়নি। ট্রেনের জন্য কারো আগ্রহ হবে না-ইবা কেন? ট্রেনে চেপে যাতায়াত করার সময় যেভাবে একটা দেশ আর তার মানুষদের দেখা যায়, আর কোনো বাহনে সেভাবে দেখা যায় বলে আমার মনে হয় না। লক্ষ করুন, ট্রেন নিয়ে অনেক নামকরা উপন্যাস ও সিনেমা আছে। চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে_দ্য ট্রেন, ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ এবং গোলাপী এখন ট্রেনে। শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস দেবদাসের চূড়ান্ত পর্যায়ের একটি ঘটনা ট্রেনে। ভারত বিভাগ নিয়ে খুশবন্ত সিংয়ের বিখ্যাত উপন্যাসের নাম 'দ্য ট্রেন টু পাকিস্তান'।
ট্রেনে ভ্রমণের আরেক আকর্ষণ হলো যে এটা নিরাপদ বাহন। এরোপ্লেনের মতো আকাশ থেকে পড়ে যাওয়ার, জাহাজ বা লঞ্চের মতো পানিতে ডুবে যাওয়ার অথবা বাসের মতো রাস্তা থেকে খাদে ছিটকে পড়ার কিংবা অন্য সড়ক বাহনের সঙ্গে পটাপট ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা খুবই কম। সব বাহনের মধ্যে ট্রেন সবচেয়ে নিরাপদ বলেই বোধ হয় হাল জামানার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন দেশে, যেমন ভারতে, রেললাইনে বিস্ফোরক বসিয়ে ট্রেন উড়িয়ে দিতে চায়। যাত্রীবাহী ট্রেন ধ্বংস করতে অথবা লাইন থেকে ফেলে দিতে পারলে একসঙ্গে অনেক জীবন যায়, তাতে চাঞ্চল্যকর খবর সৃষ্টি হয়। যাত্রীবাহী ট্রেনের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল (অনেক দেশে এখনো আছে), এগুলো ঘড়ির কাঁটা ধরে চলত। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী এক স্টেশন ছেড়ে যেত। সময়মতোই পরবর্তী গন্তব্যে পেঁৗছাত। এমনকি রেলওয়ের টাইম নামে সে সময় যে বই বের হতো তাতে কোন ট্রেন কোন স্টেশনে কয় মিনিট থামবে তাও লেখা থাকত। এ জন্যই আজকাল আমাদের দেশে নিয়ম না মানা ও চরম অযোগ্যতা বোঝানোর জন্য ব্যঙ্গ করে বলা হয়, এতটার (যেমন ৯টা বা ১০টার) ট্রেনটা কখন ছাড়বে ভাই। আবার ট্রেন ঠিকমতো চলাই স্বাভাবিক, এটা নিশ্চিত ধারণা বিধায় হরতাল ডাকলে বিক্ষোভকারীরা ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। ট্রেন চলাচল না হলে বলতে হবে, হরতাল একটা হয়েছে ঠিকই। সরকারগুলোও সে জন্যই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখাকে 'ইজ্জতের ব্যাপার' বলে গণ্য করে। আবার যখন বন্যা হয় তখন যোগাযোগ ও ত্রাণ পরিবহনের জন্য ট্রেন, লঞ্চ ও সেচপাম্পের ইঞ্জিন লাগানো নৌকা হয়ে দাঁড়ায় অতীব প্রয়োজনীয়। বন্যায় ডুবে যাওয়া এলাকার হাজার হাজার মানুষ রেললাইনের বাঁধে আশ্রয় নেয়। তাই বন্যার সময় কোনো জায়গায় রেললাইনের ওপর পানি উঠে পড়লে বুঝতে হয় পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে মোড় নিয়েছে। দুর্যোগ ভয়ংকর। রেললাইন আর ট্রেন চলাচল নিরাপত্তার প্রতীক হয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বীর মুক্তি সেনানিরা হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যদের চলাচল ব্যাহত করার জন্য তাদের পথে ব্যবহৃত রেললাইন ও রেলসেতু আক্রমণ করতেন। বহু রেলসেতু উড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ এতই তীব্র ও সফল হয়ে উঠছিল যে পাকিস্তানিরা তাদের সৈন্য ও রসদ বয়ে নেওয়ার ট্রেনগুলো রক্ষা করার জন্য কড়া টহল দেওয়া ছাড়াও অন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিত। আমার মনে আছে, মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে এক বিকেলে তেজগাঁও স্টেশনের কাছে দেখেছিলাম, একটা মালগাড়ি আসছে, যেটার একেবারে সামনে রয়েছে গোটা দুই-তিনেক ট্রলির মতো খোলা বাহন ও গোটা দুই খালি ওয়াগন। তারপর আছে ইঞ্জিন এবং তারও পেছনে গাড়িটার মূল অংশ। বোঝা গেল, পাকিস্তানিরা ভেবেছে, মুক্তিযোদ্ধারা যদি রেললাইনে মাইন পেতে রাখে বা ট্রেন যাওয়ার সময় ডিনামাইটের বিস্ফোরণ ঘটায় তাহলে যেন তাতে কেবল ইঞ্জিনের সামনের খালি ট্রলি ও ওয়াগনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাকি ট্রেনটা, বিশেষ করে ইঞ্জিনটা যেন বেঁচে যায়। আবার সেই পাকিস্তানিরা ডিসেম্বরে মিত্র বাহিনীর অগ্রগতি রোধ করতে নিজেরাই ভৈরব রেলওয়ে ব্রিজ ধ্বংস করে দিয়েছিল।
১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করার পর আওয়ামী লীগ সরকার মুক্ত দেশের দায়িত্ব নিয়েই রেলের পুনর্বাসনে হাত দিয়েছিল। পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে ওই সরকারের দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কাজটি এগিয়ে নিয়ে যান। ভৈরব রেলওয়ে সেতু মেরামত করেছিলেন ভারতীয় রেলের ইঞ্জিনিয়াররা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে রেলের অবদান ছিল অসীম। কারণ বরিশাল, টাঙ্গাইল ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের আর সব জায়গায় ট্রেনে করে পেঁৗছানো সম্ভব ছিল। ব্রিটিশরা যেসব জায়গায় রেল স্টেশন বসিয়েছিল সেসব স্থান থেকে আশপাশের গ্রামগঞ্জে নৌকা, রিকশা বা গরুর গাড়ি করে যাওয়ার মতো পথ ছিল। অনেক স্টেশনের কাছাকাছি বড় হাটবাজার-গঞ্জ ছিল। আবার ভারত থেকে খাদ্য সাহায্য, যেমন চাল ও গম এসেছিল রেলপথে মালগাড়ি করে। একসময় ভারতীয় প্রায় তিন হাজার ওয়াগন বাংলাদেশে জমে গিয়েছিল। দেশের অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হতো, সেগুলো দেশের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার বা ভেতর থেকে আনার প্রধান বাহন ছিল ট্রেন। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যোগাযোগ ছিল ট্রেন দিয়ে। রেলে ঢাকা থেকে দেশের সব দিকে যাওয়া যেত। এখনো যায়।
এতক্ষণ ধরে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগের কথা বললাম এ জন্য যে মনে গভীর সন্দেহ জাগছে অযত্ন ও অবহেলায় এবং আমাদের আত্মঘাতী অযোগ্যতার কবলে পড়ে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে তো বটেই, এটা কার্যত অচল হওয়ার দিকে যাচ্ছে। সত্যি কথা বলতে কী, আশি আর নব্বইয়ের দশকে এমন কথাও শুনেছি যে বাস ও ট্রাকের মাধ্যমে পরিবহন ব্যবসার যাতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকে এবং সড়ক পরিবহন যাতে প্রসারিত হতে পারে সে জন্য একের পর এক সরকারকে প্রভাবিত করা হয়েছে রেল যোগাযোগকে দুর্বল করে ফেলতে। স্মরণ রাখা দরকার, আমাদের রেলওয়ে সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আছে এবং সরকারই বাংলাদেশ রেলওয়েকে নিয়ন্ত্রণ করে।
আমাদের রেল যোগাযোগ ও ট্রেন ব্যবস্থাপনা যে চরম অযোগ্যতা, উদাসীনতা ও অবহেলার মধ্যে পড়েছে তার সর্বশেষ প্রমাণ হলো গত বুধবার দিনের আলো থাকতে থাকতেই নরসিংদী স্টেশনে দুটি বিপরীতমুখী যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ এবং কমপক্ষে ১৪ জনের প্রাণহানি। এ সম্পর্কে কী বলবে রেল কর্তৃপক্ষ বা সরকার? গতকাল পর্যন্ত কেউ কেউ ঠারেঠোরে বলার চেষ্টা করেছেন যে ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাতের জন্য দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু এবার তো আর গত ১১ অক্টোবরের দুর্ঘটনার সময়ের মতো উল্লাপাড়ায় রেললাইনের সঙ্গেই বিএনপি বা অন্য কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দলের জনসভা হচ্ছিল না। তা ছাড়া সম্প্রতি যে কেবল নরসিংদী বা উল্লাপাড়াতেই যাত্রীবাহী ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটল তা তো নয়। এই তো সেদিন, ২৯ সেপ্টেম্বর, ঢাকার সায়েদাবাদে লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেন ও বাসের সংঘর্ষে মানুষ মারা গেছে। এর আগে জুলাই মাসে ফেনীতে ট্রেন ও ট্রাকলরির সংঘর্ষ হয়। ২২ জুন, ২০০৯ কমলাপুর রেলস্টেশনে দুটো ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ১৯ জন আহত হন। গত ১২ বছরে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ছোট-বড় ছয় হাজার দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এগুলোতে নিহত হয়েছেন ৫০০-র বেশি যাত্রী এবং আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ হাজার জন (সূত্র : দৈনিক আমার দেশ)। এদিকে সড়ক ও নৌপরিবহনের উন্নতি হলেও ট্রেনের মাধ্যমে চলাচল কমেনি বরং বাড়ছে। গত ঈদের সময় এত লোক ট্রেনে চড়েছে যে বগিগুলোর ছাদে ওঠার জন্য কোনো কোনো স্টেশনে মানুষ মই ভাড়া করেছে।
তবে এখন যে দুর্বল ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে রেলওয়ে চলছে তাতে যাত্রী ও মাল পরিবহনকারীদের জন্য সমস্যা তো বাড়বেই, এমনকি বর্তমান সরকারেরও অসুবিধা হবে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে বদ্ধপরিকর। ভারত সরকার শুধু নৌপথ নয় (যা তারা ইতিমধ্যে পেয়ে আসছে), রেল ও সড়কপথের সুবিধাও দাবি করছে। বিদেশে অভিজ্ঞতা হয়েছে এমন একজন বাংলাদেশি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি ঢাকায় এক সেমিনারে বলেন, বাংলাদেশ তার অবস্থানগত কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবে, কিন্তু তার আগে তাকে রেল ও সড়কপথের উন্নতি করতে হবে। আর আমরা বলি, আমাদের ট্রেনে চড়ে আমরাই যাতে মারা না পড়ি সেটা নিশ্চিত করা সরকারের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
================================
স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি  মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের বিচার  মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশে দেশে  ক্ষমতা যেভাবে মানবাধিকার আর ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করে  চাক্কু মারা 'মশা' কাহিনী  উল্কির ভেলকি  এইচআইভি/এইডস্  উইকিলিকসঃ জুলিয়ান চে গুয়েভারা!  তিন কালের সাক্ষী  বাবর আলীর ইশকুল  এ মাটির মায়ায়  মধ্যবিত্তের উত্থান, না ভোক্তাশ্রেণীর উদ্ভব  হিমালয়ের পায়ের কাছেঃ গোধূলির ছায়াপথে  পতিত স্বৈরাচারের আস্ফালন ও আওয়ামী লীগের নীরবতা  ৪০ বছর পড়ে থাকা লাশটার সৎকার করতে চাই  এই কি আমাদের মানবাধিকার?  ঐতিহ্যের মধ্যে সমকাল  কেমন দেখতে চাইঃ ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা  দ্রীপ প্রতিভার দ্যুতিময় স্মারক  গল্প- বৃষ্টি  শহীদুল্লা কায়সারঃ রাজনৈতিক সৃষ্টিশীলতা  আনোয়ার পাশাঃ জাতিরাষ্ট্রের অংশ ও প্রেরণা  মুনীর চৌধুরীঃ তাঁর নাটক  জেগে ওঠার গল্প  এখন শুনবেন বিশ্ব-সংবাদ  বাঘ  বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১০  তাঁরা সমালোচিত, আমরা বিব্রত  মুজিবকে নিয়ে সিরাজের একমাত্র লেখা  ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তির উদ্যোগ  মহাস্থানগড়ের ধ্বংস-পরিস্থিতিঃ পর্যবেক্ষণ  ওয়ান-ইলেভেনের চেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ আসছে!  ডিসেম্বরঃ গৌরব ও গর্বের মাস  উইকিলিকস বনাম যুক্তরাষ্ট্র  দুর্নীতি বেড়েছে দুনিয়াজুড়ে  উইকিলিকসঃ বাঘের ঘরে ঘোগ


দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ আতাউস সামাদ
সাংবাদিক ও কলামিস্ট


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.