আলোচনা- 'পর্যটন ও জীববৈচিত্র্য:প্রেক্ষাপট-বাংলাদেশ' by মোঃ হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার

পর্যটন ও জীববৈচিত্র্য পরস্পর নির্ভরশীল। জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ অঞ্চল বা দেশ, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আঁধার হিসেবে, পর্যটকদের আকর্ষণ করে সহজেই।

বর্তমান বিশ্বে প্রকৃতিনির্ভর জীববৈচিত্র্যপূর্ণ আকর্ষণকে কেন্দ্র করে টেকসই পর্যটন উন্নয়ন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে অতিদ্রুত গতিতে এবং একে পুঁজি করেই অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে গতি সঞ্চার করতে সক্ষম হচ্ছে সেসব পর্যটন আকর্ষণগুলো।
জীববৈচিত্র্য আমাদের এ সৌন্দর্যময় পৃথিবীর অমূল্য সম্পদ।
বিশ্বব্যাপী তাবৎ পরিবেশবিদ ও পর্যটন গবেষক এ পৃথিবীর অস্তিত্ব সুরক্ষায় অনুকূল প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে সমধিক গুরুত্ব প্রদান করেছেন। কতিপয় শিল্পোন্নত দেশের অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকাণ্ডের কুফল থেকে সুন্দর এ পৃথিবীকে সুরক্ষা ও বাসযোগ্য করার তাগিদে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়াকে প্রাধান্য দিয়ে পরিবেশবান্ধব টেকসই পর্যটন উন্নয়নকে গুরুত্ব প্রদান করা তাই জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিশ্ব পর্যটন সংস্থা প্রাসঙ্গিকভাবেই জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মানুষের সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০-এ অনুষ্ঠেয় বিশ্ব পর্যটন দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে ‘পর্যটন ও জীববৈচিত্র্য’-কে নির্ধারণ করেছে। মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের ফলে প্রতিনিয়ত পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের বিলুপ্তি ঘটছে এবং বিনষ্ট হচ্ছে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য । জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব পরিমণ্ডলে পরিচিত। আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির মূল চালিকাশক্তি এ দেশেরই জীববৈচিত্র্য। জীববৈচিত্র্যের কল্যাণেই আমাদের এদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য আজো বিরাজমান আছে।
বাংলাদেশের মূল পর্যটন আকর্ষণগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যাবে যে, আমাদের আশিভাগ পর্যটন আকর্ষণগুলো মূলত প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যকেন্দ্রিক। যেমন : কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটা, সিলেটের হাকালুকি, ট্যাংগুয়া, হাইল হাওর, পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটির বনাঞ্চল, পাহাড়ি এলাকা, হ্রদ, শ্রীমঙ্গল অঞ্চলের লাউয়াছড়া রেইনফরেস্ট এলাকা, মাধবকুণ্ড, সুন্দরবন, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের বনভূমি অঞ্চল সমুদ্র তটভূমিসমূহ। এসব আকর্ষণই সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে একটি অনন্য প্রাকৃতিক ও জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ পর্যটন গন্তব্য হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম।
স্বাভাবিক নিয়মেই জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ পর্যটন আকর্ষণগুলো সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব। কেননা এগুলোতেই নিহিত আছে বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার উপকরণ। বিরূপ জলবায়ুগত পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বর্ধিত বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বা হবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ। সুপরিকল্পিত ও সুনিয়ন্ত্রিত পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়ন এ হুমকি মোকাবিলায় অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে।
জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী মানুষের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে বর্তমান বর্ষকে জীববৈচিত্র্য বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এর সর্বজনীনতাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছে ‘‘Bio diversity is life ! Bio diversity is our life!” ‘‘জীববৈচিত্র্য হচ্ছে জীবন! জীববৈচিত্র্য আমাদের জীবন।” এ প্রতিপাদ্য প্রমাণ করে এর পরিধি সুবিস্তৃত এবং এর অস্তিত্ব আমাদেরই অস্তিত্ব। জীবনের মৌলিক উপাদানগুলোকে কেন্দ্র করে আবর্তিত জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় আমাদের তাই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। এক্ষেত্রে সমন্বিত ভূমিকার কোনো বিকল্প নেই। গবেষণায় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে প্রতি বছর ১০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ প্রজাতি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে। IUCN-এর Red list of threatened species of 2009 অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ৪৭,৬৭৭টি প্রজাতির মধ্যে ১২,২৯১টি মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতির ৪০ শতাংশ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনের ৮০ শতাংশ জীবসম্পদের ওপর নির্ভরশীল। জীন, প্রজাতি এবং ইকোসিস্টেমের প্রতিটি ক্ষেত্রে জীববৈচিত্র্যের কার্যকর ব্যবস্থা টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত। অন্যদিকে জীববৈচিত্র্যকে পুঁজি করে সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণশীল পর্যটন শিল্প অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টিতে অত্যন্ত কার্যকর। সুতরাং এ শিল্পের দ্রুত সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ায় পরিকল্পনামাফিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব টেকসই পর্যটন উন্নয়ন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি এ তিনটি বিষয় সমগ্র পৃথিবীকে সবচেয়ে ভাবিয়ে তুলছে। আর এর অন্যতম প্রধান শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। এদেশের ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনসহ আঞ্চলিক পর্যায়ে গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রমের সবচেয়ে হুমকিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দেশের জীববৈচিত্র্য। জীববৈচিত্র্য সনদ বা Convention of Biological Diversity-এর অংশীদার হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বাংলাদেশে প্রণীত ৪র্থ জাতীয় প্রতিবেদন ‘‘বাংলাদেশ জাতীয় জীববৈচিত্র্য মূল্যায়ন ও এ্যাকশন কর্মসূচী -২০২০’’ প্রকাশিত হয়েছে। সিবিডি সদস্য দেশগুলো কর্তৃক প্রণীত ও প্রেরিত প্রতিবেদন অনুযায়ী সিবিডি কর্তৃপক্ষ ‘গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি আউটলুক’ এ বছরই প্রকাশ করবে। বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও হুমকিগ্রস্ত জীববৈচিত্র্যকে প্রাধান্য দিয়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কার্যক্রমকে ৯টি ফোকাল এরিয়াতে বিভক্ত করে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৭৪টি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে এর মধ্যে পর্যটনও অন্তর্ভুক্ত। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ২৫,২৩৫ মিলিয়ন টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার পর্যটন শিল্পের পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে এবং হুমকির সম্মুখীন জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ পর্যটন আকর্ষণসমূহকে সুরক্ষার অন্যতম উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে ‘বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন ২০১০’ প্রণয়ন করেছে। যার কার্যকর বাস্তবায়ন পর্যটন উন্নয়নের নামে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন প্রসারকে বন্ধ করার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়নকে উৎসাহিত করবে।
বাংলাদেশের পাহাড়, বন, হ্রদ, হাওর, সমুদ্রসৈকত, দীপাঞ্চল, নদী, উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল, ইতিহাস ও ঐতিহ্যগত নিদর্শন, আদিবাসী সংস্কৃতিকে নিয়ে আবর্তিত পর্যটন শিল্প দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে গতিময় করতে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালনে সক্ষম। World Travel & Tourism Council (WTTC) কর্তৃক ২০০৯-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে কর্মসংস্থান ও মোট কর্মসংস্থানে এর প্রভাব এবং জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদানকে নিম্নরূপে দেখানো হয়েছে :
কর্মসংস্থান :
- সরাসরি (প্রত্যক্ষ) : ৯.৫ মিলিয়ন কর্মসংস্থান যা মোট কর্মসংস্থানের ১.৫%
- পরোক্ষ : ২৩.০ মিলিয়ন কর্মসংস্থান যা মোট কর্মসংস্থানের ৩.২%
জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান :
- সরাসরি (প্রত্যক্ষ) : ১,৪৬৬.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা জিডিপির ১.৭%
- পরোক্ষ : ৩,৭৭৩.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা জিডিপির ৪%
জীববৈচিত্র্যনির্ভর বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প পরিবেশ বৈরিতার কারণে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত তেমনিভাবে পরিবেশ বৈরিতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালনে স্বীকৃত, পাশাপাশি প্রকৃতিনির্ভর সুনিয়ন্ত্রিত পরিবেশবান্ধব পর্যটনের টেকসই উন্নয়ন যুদ্ধজয়ী হাতিয়ার হিসেবে অগ্রগণ্য। এ ক্ষেত্রে আমাদের নিম্নরূপ সচেতনতা বৃদ্ধি ও অংশগ্রহণমূলক কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে :
- জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ অঞ্চলে উপাত্ত সংগ্রহ ও ডাটা বেজ প্রতিষ্ঠা।
- প্রচারমূলক উপকরণ যেমন : ব্রশিউর, লিফলেট, বুকলেট, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি তৈরি, বিতরণ ও স্থাপনের ব্যবস্থা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সভা, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন।
- জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ও এ বিষয়ে মানুষের সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ আয়োজন।
- জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পেশায় নিয়োজিতদের বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে পর্যটন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে পর্যটন ব্যবসায় ও জীবিকার সম্পৃক্ত করা।
- প্রণীত বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইনের বাস্তব ও কার্যকর প্রয়োগ।
- বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণে অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা।
- সমুদ্র তটবর্তী অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সৃজন।
- বালিপাড়ির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে উপযুক্ত তৃণলতা রোপণ।
- পর্যটক ও পর্যটন সেবা প্রদানকারীদের জন্য পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়নমূলক নির্দেশাবলী বাস্তবায়নে সচেষ্ট করা এবং এ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ।
- স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে অংশগ্রহণ ও দায়িত্ববোধমূলক পরিবেশবান্ধব পর্যটন সেবা সৃষ্টি করা।
- তথ্য প্রদর্শনী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা।
- পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকর ও সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালুকরণ।
- বিলুপ্ত প্রজাতির স্থানীয় ফলজ, বনজ ও ভেষজ উদ্ভিদ নার্সারি প্রতিষ্ঠা এবং স্থানীয় জনগণকে তা রোপণে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ।
- সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার সুনিশ্চিত করা ও এ ক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহারকে উৎসাহিত করা।
পর্যটনের ক্ষেত্রে জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব অপরিমাপযোগ্য। পৃথিবীর প্রাণবৈচিত্র্য প্রত্যক্ষণ ও এর সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা অর্জনে প্রতিবছর বহু লক্ষাধিক পর্যটক বিশ্ব ভ্রমণ করে। পর্যটন শিল্পের সমৃদ্ধি ও এর টেকসই প্রবৃদ্ধি পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়ন এবং সংরক্ষণে পর্যাপ্ত আয়ের যোগান দিয়ে থাকে।
জীববৈচিত্র্যের সৌন্দর্য উপভোগের মাধ্যমে অর্জিত পর্যটন রাজস্বের আধিক্য প্রায়শই দেখা যায় বিশ্বের স্বল্পোন্নত অঞ্চলে বিরাজমান এবং তা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আয়ের একটি অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। পর্যটন ও জীববৈচিত্র্যের নিবিড় সম্পর্ক স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব, উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখে যা টেকসই পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিত করে। এ প্রেক্ষাপটেই বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০১০ পর্যটন উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও দারিদ্র্য সংকোচনের ক্ষেত্রে দৃঢ় সম্পর্কের বিষয়টিকে প্রাধান্য প্রদান করেছে। টেকসই পর্যটন উন্নয়ন প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষা এবং জীবনের প্রয়োজনে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্ব অনুধাবনে সচেতনতা বৃদ্ধিতে অপূর্ব সুযোগের সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার জীববৈচিত্র্য ও পর্যটনের গুরুত্ব অনুধাবন করে এ বিষয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন সরকার কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। আশা করা যায়, দিনবদলের অঙ্গীকারে উজ্জীবিত বাংলাদেশের অজেয় মানসিকতার সংগ্রামী জনগোষ্ঠী বৈরী জলবায়ু ও প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম করে বিজয়ী হবে এবং বিশ্ব পরিমণ্ডলে ২০২১ সাল নাগাদ সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি হিসেবে গৌরবের আসনে অধিষ্ঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
===============================
খবর- নাগোয়া সম্মেলনে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ঐতিহাসিক চুক্তি  খবর- ছয় দশক পর দুই কোরিয়ার স্বজনদের পুনর্মিলন  গল্প- 'স্বপ্ন' by আলমগীর হোসেন ফারুক  রাজনৈতিক আলোচনা- 'কাশ্মীর কখনোই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়'- অরুন্ধতী রায়  স্বপ্নকথা- 'আত্মবিশ্বাসী মানুষই সফল হয়' by —বেনজির ভুট্টো  আবিষ্কার খবর- আমাজনে নতুন নতুন প্রজাতির সাপ ব্যাঙ মাছ  খবর- পরমাণু চুল্লিতে জ্বালানি ভরা শুরু করেছে ইরান  কিশোর ফিচার- 'আকাশছোয়াঁ টাওয়ার ‘বুর্জ খলিফা’ by জ়ে হুসাইন  গল্প- 'ঘোস্ট হাউজ অপারেশন' by আব্দুল্লাহ আল নোমান  আলোচনা- 'মহানবীর (সা): আদর্শ জীবন' by অধ্যাপক মুহম্মদ মতিউর রহমান  ভ্রমণ- 'মাধবপুর লেক ভ্রমণে' by খালেদ আহমদ শিমুল  স্বাস্থ্য আলোচনা- 'সুস্থতার জন্য হাসি' by আবু হেনা আবিদ জাফর  বিজ্ঞান আলোচনা- 'মহাকাশের পড়শিরা' by মো: সাইফুল ইসলাম  বিজ্ঞান আলোচনা- 'পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড কার' by সাকিব রায়হান  বিজ্ঞান আলোচনা- 'হারিয়ে যাবে দানব গ্রহ!' by সাকিব রায়হান  গল্প- 'ট্রেনের হুইসেল' by হামিদুল ইসলাম  আলোচনা- 'জীবজগতে বেঁচে থাকার কৌশল' by আরিফ হাসান  আলোচনা- 'মিনার : মুসলিম সভ্যতার অনন্য নিদর্শন' by শেখ মারুফ সৈকত

সাপ্তাহিক এর সৌজন্যে
লেখকঃ মোঃ হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার
চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.