হেডলির আরেক স্ত্রীও মার্কিন কর্তৃপক্ষকে আগেই জানান

মুম্বাই হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ডেভিড হেডলির আরেক স্ত্রীও হামলার এক বছর আগে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর স্বামী লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে জড়িত এবং ভারতের বাণিজ্যিক কেন্দ্রে হামলার ষড়যন্ত্র করছেন। এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, হেডলির স্ত্রীদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর তা সময়মতোই ভারত সরকারকে জানানো হয়েছিল।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিসংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাকে দায়ী করে আসছে ভারত। গত শুক্রবার সংবাদ প্রতিষ্ঠান প্রোপাবলিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাই হামলার তিন বছর আগেই পাকিস্তানি-মার্কিন ডেভিড হেডলির স্ত্রী এফবিআইকে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে জড়িত এবং তিনি হামলার লক্ষ্য নির্ধারণের কাজ করছেন।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, হেডলির আরেক স্ত্রী ফাইজা আওতালহা জানিয়েছেন, মুম্বাই হামলার অন্তত এক বছর আগে তিনি সম্ভাব্য ওই হামলার বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, ২০০৭ সালের এপ্রিল ও মে মাসে দুই দফায় তাঁর স্বামী হেডলির সঙ্গে তিনি মুম্বাইয়ে তাজমহল হোটেলে ছিলেন। সে ছবিও তিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের দেখিয়েছিলেন।
হেডলির কমপক্ষে তিনজন স্ত্রী আছেন বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। ২৭ বছর বয়সী ফাইজা জানান, পাকিস্তানের ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাসে তিনি দুই দফায় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তাঁদের জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীর অনেক বন্ধু আল-কায়েদার সক্রিয় সদস্য।
এদিকে প্রোপাবলিকার ওই প্রতিবেদনের পর প্রশ্ন উঠেছে, এত আগে হামলার বিষয়ে জানতে পেরেও বিষয়টি কি মার্কিন গোয়েন্দারা ভারত সরকারকে জানাননি? তবে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র মাইক হ্যামার জানিয়েছেন, হেডলির স্ত্রীরা তাঁদের স্বামীর জঙ্গি কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাঁদের তথ্য দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু হামলার সঠিক দিনক্ষণ ও স্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য তাঁরা পাননি। তিনি বলেন, ‘হামলার নির্দিষ্ট সময় ও স্থান সম্পর্কে যদি আমরা জানতে পারতাম, তাহলে দেরি না করে সবিস্তারে তা ভারতকে জানানো হতো।’
মুম্বাই হামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সতর্কতা পেয়েছিলেন। তবে তা ছিল নেহাত সাধারণ কিছু তথ্য। এএফপি, ডন।

No comments

Powered by Blogger.