ইরাকে মার্কিন বাহিনীর ঘনিষ্ঠ সুন্নিরা আল-কায়েদায় যোগ দিচ্ছে

ইরাকে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইরাকস্ অ্যাওকেনিং কাউন্সিলের (ইরাকের জাগ্রত পরিষদ) কয়েক শ সুন্নি সদস্য আল-কায়েদার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল রোববার নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
ইরাকে উগ্র ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার কারণে ইরাক যুদ্ধের সময় সুন্নি সম্প্রদায়ের একটি পক্ষকে মার্কিন বাহিনী মিত্র হিসেবে গ্রহণ করে। ওই সুন্নিদের নিয়ে ইরাকস্ অ্যাওকেনিং কাউন্সিল গঠন করা হয়। বিভিন্নভাবে সহায়তা করার জন্য মার্কিন বাহিনী তাঁদের মোটা অঙ্কের অর্থ সহায়তা দিয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের ইরাকি বাহিনীতেও চাকরি পাইয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছিল মার্কিনিরা। তবে চলতি বছর মার্কিন বাহিনীর কমব্যাট সেনারা ইরাক ছাড়া শুরু করলে ওই সুন্নিরা মার্কিন বাহিনী তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মনে করতে শুরু করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাওকেনিং কাউন্সিলের যেসব সদস্য দল ত্যাগ করে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, তাঁদের একাংশ মনে করেন, ইরাকের বর্তমান সরকার তাঁদের ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। তাই সরকারবিরোধী শক্তির সঙ্গে তাঁদের যোগ দেওয়া উচিত। আরেকটি অংশ আল-কায়েদার চাপে পড়ে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন বলেও ধারণা করছেন কর্মকর্তারা।
ইরাকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি কর্মকর্তা, অ্যাওকেনিং কাউন্সিল ও জঙ্গি দলের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে অ্যাওকেনিং কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ করা অথবা বরখাস্ত হওয়া কয়েক শ সদস্য আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকতে পারেন। তাঁদের অনেকেই সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং মার্কিন বাহিনীর সামরিক কৌশল সম্পর্কে তাঁরা অবগত। কর্মকর্তাদের ধারণা, অ্যাওকেনিং কাউন্সিলের মধ্যে এমন কয়েক হাজার সদস্য আছেন, যাঁরা নিয়মিত সরকারি বেতন-ভাতা পাচ্ছেন এবং একই সঙ্গে তাঁরা জঙ্গিদের সহায়তা করে যাচ্ছেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী বছর ইরাক থেকে সব সেনা সরিয়ে নেওয়ার সময় অ্যাওকেনিং কাউন্সিলের সদস্যরা বিগড়ে যাওয়ায় সেখানে নতুন করে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.