বিসিবির চাকরি ছাড়লেন মাহমুদ

জাতীয় দলের সহকারী কোচই শুধু নন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চাকরিই আর করতে চান না খালেদ মাহমুদ। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক গত ৫ সেপ্টেম্বর সহকারী কোচের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে বোর্ডে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্বস্ত একটি সূত্র। তবে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত এক মাসের ‘নোটিশ পিরিয়ড’ আছে বলে মাহমুদ এখনো জাতীয় দলের অনুশীলনে আছেন।
মাহমুদের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন। কাল টেলিফোনে তিনি জানান, ‘জাতীয় দলের সহকারী কোচের দায়িত্বে আর থাকতে চায় না জানিয়ে খালেদ মাহমুদ বোর্ডকে চিঠি দিয়েছে। তবে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তার সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে আলোচনার জন্য বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটি প্রধান নির্বাহী মঞ্জুর আহমেদ ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নিজামউদ্দিন চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়েছে। ও কেন আর দায়িত্বে থাকতে চাইছে না বা অন্য কোথাও কাজ করতে চায় কি না, সেসব জানা দরকার।’
এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন, জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে না থেকে মাহমুদ নাকি একাডেমি বা বোর্ডের কোচ হিসেবে অন্য কোথাও কাজ করতে আগ্রহী। ‘আমরা চাই, সুজন (খালেদ মাহমুদ) দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে থাকুক। তাকে সহকারী কোচ করা হয়েছিল প্রেষণে। এখন সে যদি অন্য কোথাও কাজ করতে আগ্রহী হয়, সেটা আমরা দেখব’—বলেছেন এনায়েত হোসেন। তবে সূত্র জানিয়েছে, মাহমুদ বিসিবির সঙ্গে সম্পর্কটা পুরোপুরিই ছিন্ন করতে চান। কাল বিসিবির প্রধান নির্বাহী এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসলেও মাহমুদ সিদ্ধান্ত পাল্টাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বোর্ডের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর আসন্ন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আবাহনীর কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাহমুদ।
খালেদ মাহমুদের সরে দাঁড়ানোর কারণটা অভিমানজনিত বলে জানিয়েছে সূত্র। সহকারী কোচ হিসেবে যেভাবে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করছেন, সেটা মানতে পারছেন না তিনি। জেমি সিডন্স তাঁকে সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন না, প্র্যাকটিসে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, কখনো কখনো ক্রিকেটারদের সামনে অপমানজনক আচরণও করছেন—ঘনিষ্ঠজনদের কাছে এমন অভিযোগই নাকি করেছেন মাহমুদ। তবে কাল পদত্যাগ এবং তার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহমুদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

No comments

Powered by Blogger.