যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত চার খেমাররুজ নেতা

কম্বোডিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল খেমাররুজের সাবেক চার নেতাকে অভিযুক্ত করেছে। আগামী বছর এই চার নেতার বিচারকাজ শুরু হবে।
খেমাররুজ নেতা পলপটের ডেপুটি নুওন চিয়া, সাবেক প্রেসিডেন্ট খিউ সাম্পান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেং স্যারি ও তাঁর স্ত্রী লেং থিরিথকে আগামী বছর আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হবে। এই চার নেতার বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন ও ধর্মীয় কারণে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত জুলাইয়ে সাবেক কারাপ্রধান ডাচকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তিনি হলেন প্রথম ব্যক্তি, যাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন নমপেন-ভিত্তিক আদালত।
ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে খেমাররুজ এই চার নেতার বিচারকাজ শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তাঁরা ২০০৭ সাল থেকে আটক। অভিযুক্ত চার নেতাই বয়োবৃদ্ধ। ৮৪ বছরের লেং স্যারি অসুস্থ। তাঁর ৭৮ বছর বয়সী স্ত্রী লেং থিরিথ প্রথম নারী, যাঁকে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখী করা হচ্ছে। লেং থিরিথ সমাজকল্যাণমন্ত্রীও ছিলেন।
পলপটের ডেপুটি নুওন চিয়ার বয়স ৮৪ বছর। আর সাবেক প্রেসিডেন্ট খিউ সাম্পানের বয়স ৭৯ বছর। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নুওন চিয়া পল পটের শাসনামলের নেপথ্যের আদর্শগত চালিকা শক্তি ছিলেন। অভিযুক্ত চার নেতাই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
খেমাররুজ শাসনামলে তাদের অত্যাচার-নির্যাতনে প্রায় ২০ লাখ মানুষ মারা গেছে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত কম্বোডিয়া শাসন করেছে খেমাররুজরা। খেমাররুজদের শীর্ষ নেতা পল পট ১৯৯৮ সালে মারা গেছেন।
টুওল স্লেং কারাগারের প্রধান ডাচকে দোষী সাব্যস্ত করেছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই কারাগারে খেমাররুজ সরকারের ‘শত্রুদের’ পাঠানো হতো।
টুওল স্লেং কারাগারে নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হাজারো হত্যাকাণ্ড তত্ত্বাবধান করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন ডাচ। তাঁকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.