ইউরোপেও সেই জুভেন্টাস

কী যে হলো জুভেন্টাসের! না ঘরোয়া লিগে, না ইউরোপে; কোথাও সুবিধা করে উঠতে পারছে না ২৭ বার সিরি ‘আ’ ও ২ বার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ চ্যাম্পিয়ন দলটি।
সিরি ‘আ’তে প্রথম ম্যাচে বারির কাছে ১-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে সাম্পদোরিয়ার সঙ্গে ড্র করেছে ৩-৩ গোলে। জুভেন্টাসের কোচ লুইজি দেলনেরি এর পর দুঃখ করে বলেছিলেন, তাঁর দলের স্কুডেট্টো জয়ের সামর্থ্য আসলে নেই। এখন তো মনে হয় ইউরোপা লিগেও জুভেন্টাসের ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
ভোরের সূর্য যদি দিনের সঠিক পূর্বাভাস দিয়ে থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে এটাই। কারণ ইউরোপা লিগের প্রথম ম্যাচেই জুভেন্টাসকে ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে অখ্যাত লেচ পোজনানের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে সোনার বলজয়ী ডিয়েগো ফোরলানের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এর চেয়েও খারাপ করেছে। এইরিস সালোনিকার কাছে ১-০ গোলে হেরেই গেছে স্প্যানিশ দলটি। তবে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংল্যান্ডের দুই ক্লাব লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি। সালজবুর্গের বিপক্ষে ম্যান সিটির জয়টি ২-০ গোলের। লিভারপুল স্টুয়া বুখারেস্টকে হারিয়েছে ৪-১ গোলে।
পরশুর ইউরোপা লিগের রাতটি আসলে ছিল গোলের রাত। ২৪টি ম্যাচে ৪০টি গোল হয়েছে পরশু রাতে। এর মধ্যে আছে দুটি হ্যাটট্রিক। জুভেন্টাসকে হতাশায় ডুবিয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন পোজনানের আর্টজমস রুডনেভস এবং হ্যাটট্রিক করেছেন বায়ার লেভারকুসেনের প্যাট্রিক হেলম্স। হেলমসের হ্যাটট্রিকে তাঁর দল রোজেনবার্গ ট্রন্ডহেইমের বিপক্ষে জিতেছে ৪-০ গোলে।
জুভেন্টাস যেমন হতাশ হতে পারে, তেমনি আবার এই ভেবে খুশিও হতে পারে, ৩০ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে। রুডনেভের ২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ৫ মিনিটের মধ্যে (৪৫ ও ৫০) দুই গোল করে তুরিনের ‘ওল্ড লেডি’দের সমতায় ফেরান চিয়েল্লিনি। এরপর দেল পিয়েরো ৬৮ মিনিটে এগিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু ৯০ মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন রুডনেভ। পোজনানকেও এনে দেন ড্র।
ম্যানচেস্টার সিটির জয়ে অবদান আছে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ডেভিড সিলভার। ৮ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ৩০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে সিটিতে নাম লেখানোর পর এটিই তাঁর প্রথম গোল। এরপর ৬৩ মিনিটে জো করেন দলের দ্বিতীয় গোল। সালজবুর্গ অনেক চেষ্টা করেও আর একটিও ফেরত দিতে পারেনি।
অ্যানফিল্ড ম্যাচের প্রথম মিনিটেই লিভারপুলকে এগিয়ে দিয়েছেন জো কোল। ১৩ মিনিটেই তানাসের গোলে সমতায় ফেরে স্টুয়া বুখারেস্ট। তবে শেষ পর্যন্ত লিভারপুলের সঙ্গে আর পেরে ওঠেনি তারা। ডেভিড এনগগ করেছেন জোড়া গোল। লিভারপুলের বাকি গোলটি লুকাসের।

No comments

Powered by Blogger.