পর্তুগালকে মরিনহোর ‘না’

লিগ শিরোপা ছয়টি, একটি উয়েফা কাপ ও দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ। ২০০২ সালের পর থেকে প্রতিটি মৌসুমে অন্তত একটি শিরোপা—এই সাফল্যবিধৌত রেকর্ড কার? কার আবার হোসে মরিনহোর! ‘স্পেশাল ওয়ানের’ নিজের দেশই যখন আজ সংকটে, তখন কি একটুও মুখ তুলে তাকাবেন না?
বড় আশা নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ কোচের কাছে ছুটে গিয়েছিল পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন (এফপিএফ)। ইউরো বাছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচ থেকে মাত্র একটি পয়েন্ট পাওয়া পর্তুগাল দুই দশক পর বাছাইপর্ব না পেরোনোর শঙ্কার সামনে। এর মধ্যে আবার কোনো কোচও নেই তাদের। কার্লোস কুইরোজকে ছাঁটাই করার পর নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এফপিএফ চাইছিল, আগামী মাসে বাছাইপর্বের ওই দুই ম্যাচে যেন দায়িত্ব নেন মরিনহো।
এটা নিয়ে আলাপ করতে এফপিএফ সভাপতি জিলবার্তো মাদাইল এসেছেন স্পেনে। স্বদেশি মরিনহোকে রাজি করাতে মাদাইলের সফরসঙ্গী হয়েছেন সাবেক সভাপতি হোয়াও রদ্রিগেজও। মরিনহো অবশ্য সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন এই প্রস্তাব। জানিয়েছেন, ‘পর্তুগালের প্রতি আমার যে আবেগ-ভালোবাসা, এ কারণে সরাসরি তাদের না বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু এখন আমি হ্যাঁ-ও বলতে পারছি না। আমার মনে হচ্ছে, এটাকে রিয়াল কর্তৃপক্ষ ভালো চোখে দেখবে না। এ ব্যাপারে যে চুক্তি হওয়া দরকার, সেটি সম্ভব নয়।’
সাধারণত ইউরোর বাছাইপর্ব চলার সময় ক্লাব ফুটবলে দিন দশেকের বিরতি দেওয়া হয়। ওই সময় লিগের কোনো ম্যাচ থাকে না বলে মরিনহো চাইলে পর্তুগালের এই বিপদের দিনে পাশে এসে দাঁড়াতে পারতেন। মাত্রই তো দুটি ম্যাচ। কিন্তু এটাও আবার সত্যি, হুট করে একটা দলের দায়িত্ব মাত্র দুই ম্যাচের জন্য নেওয়াটাও জুতসই কিছু নয়।
নিরাশ হয়েই তাই ফিরতে হচ্ছে মাদাইলকে। অবশ্য এফপিএফ সভাপতি স্পেনে পা রেখেই বলেছিলেন, প্রায় অসম্ভব একটা প্রস্তাব নিয়েই তিনি এসেছেন। দেখা যাক, দেশের প্রতি কিছু ঋণ মরিনহো শোধ করেন কি না। কিন্তু মরিনহোর হাত যে বাঁধা!

No comments

Powered by Blogger.