হার্নান্দেজের শেষ মুহূর্তের জাদু

সুপার সাব’ বোধ হয় একেই বলে। ম্যাচের আট মিনিট বাকি থাকতে মাঠে নেমে হাভিয়ের হার্নান্দেজ বাজিমাত করলেন। গোল করলেন, নিজ দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে নিয়ে গেলেন কার্লিং কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। ভালো খেলেও শেষ মিনিটের দুঃখে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিতে হলো উলভসকে।
উলভসের জন্য দুঃখ হতেই পারে ফুটবল রস আস্বাদনকারী নিরপেক্ষ দর্শকদের। পুরো খেলায় বরং উলভসই বেশি সুযোগ তৈরি করেছে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে বারবার বিপাকে ফেলেছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।
ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল একেবারেই ম্যাড়ম্যাড়ে। ৪৬ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে ম্যাচটি মনে রাখার মতো তেমন কিছুই করতে পারেননি দুই দলের খেলোয়াড়দের। দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রথমে এগিয়ে যায় পর্তুগিজ রিক্রুট বেবের গোলে। উলভসের পক্ষে সমতা ফিরিয়ে নিয়ে আসেন জর্জ এলোকোবি। দক্ষিণ কোরীয় আন্তর্জাতিক পার্ক জি সাং আবার এগিয়ে নেন রেড ডেভিলদের। খেলাটি ২-২ গোলে সমতায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন উলভসের কেভিন ফলিস। এর পরেই দর্শকদের উত্তেজনার সাগরে ভাসিয়ে দেন দুই দলের খেলোয়াড়েরা। আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে উপস্থিত হয় ম্যাচের অন্তিম মুহূর্ত। মেক্সিকান স্ট্রাইকার হাভিয়ের হার্নান্দেজ ম্যাচের ৮২ মিনিটের সময় মাঠে নেমে দলকে জয়সূচক গোল উপহার দেন একেবারে শেষ মুহূর্তে।
চরম উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচ জিতে দারুণ উচ্ছ্বসিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ স্যার আলেক্স ফার্গুসন। হার্নান্দেজের প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ তিনি। বলেছেন, ‘অনুশীলনের সময় হার্নান্দেজ সবচেয়ে আগে মাঠে প্রবেশ করে সবচেয়ে শেষে টিম বাসে ওঠে। সে খেলাটির প্রতি দারুণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওর গোল করার যে অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে, সেটাই আজ মাঠে করে দেখিয়েছে।’

No comments

Powered by Blogger.