কেনিয়া সফরে গেলেন বশির

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সত্ত্বেও গতকাল শুক্রবার কেনিয়া সফরে গেলেন সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির। সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর প্রদেশে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এই আদালতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে কেনিয়া আইনগতভাবে বাধ্য। এদিকে কেনিয়ার নতুন সংবিধান কার্যকর করা হয়েছে।
কেনিয়ার নতুন সংবিধান কার্যকর করা উপলক্ষে দেশটির রাজধানী নাইরোবির উহুরু পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট বশির। যদিও কেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। বার্তা সংস্থা এএফপির একজন সংবাদদাতা জানান, বশির অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে গিয়ে অবস্থান নেন।
অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বশিরকে নিরুদ্বিগ্ন মনে হয়েছে। হাসিমুখে অন্যান্য আফ্রিকান নেতার সঙ্গে করমর্দন করতে দেখা গেছে তাঁকে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট বশিরকে গ্রেপ্তার করতে কিংবা তাঁকে কেনিয়ায় প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
কেনিয়ায়নতুন সংবিধান কার্যকর
এদিকে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াই কিবাকি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সংবিধান চালু করার কথা ঘোষণা করেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মুয়াই কিবাকি.., ঘোষণা করছি যে, এটা হবে কেনিয়ার নতুন সংবিধান। ২০১০ সালের ২৭ আগস্ট থেকে এই সংবিধান কার্যকর হবে।’
জাতীয় গণভোটে বিপুলভাবে অনুমোদনের তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর কেনিয়ার নতুন সংবিধান কার্যকর করা হলো। নতুন সংবিধান অনুযায়ী কেনিয়ার রাজনৈতিক পদ্ধতির আরও বিকেন্দ্রীকরণ ঘটবে। এতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমবে।
নতুন সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টের দ্বিতীয় কক্ষ সিনেটের আবির্ভাব হবে। ভূমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি ও অতীত প্রবঞ্চনা পর্যালোচনার জন্য একটি ভূমি কমিশন গঠন করা হবে।
যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে ২০০৯ সালের মার্চে বশিরের বিরুদ্ধে প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আইসিসি। পরে গণহত্যার অভিযোগে ২০১০ সালের জুলাই মাসে দ্বিতীয় বারের মতো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.