বুকোলা আসলে কার

বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে গত দুই মৌসুম মোহামেডানের জার্সি গায়ে খেলেছেন বুকোলা ওলালেকান। এই সময় বিদেশি স্ট্রাইকারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল এই নাইজেরিয়ানকে দলে পেতে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে নবাগত শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও পুনর্গঠিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র।
শেখ জামালের ম্যানেজার আনোয়ারুল করিমের (হেলাল) দাবি, ‘আমাদের সঙ্গে বুকোলার চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়েছে। আশা করছি, সে ১৫ সেপ্টেম্বর আসবে।’ ওদিকে মুক্তিযোদ্ধার কোচ মারুফুল হক বলছেন, ‘বুকোলা মুক্তিযোদ্ধায় খেলবে। তার সঙ্গে আমাদের চূড়ান্ত আলোচনা হয়ে গেছে এবং সব প্রক্রিয়াও সম্পন্ন।’
দুই দলই যেভাবে জোর দিয়ে বলছে, তাতে ব্যাপারটা পুরোপুরি নির্ভর করছে বুকোলার ওপর। শেখ জামালের দাবি, তাদের প্রস্তাবটাই নাকি বেশি লোভনীয়। তা জেনেও মুক্তিযোদ্ধা বলছে, বুকোলা বাংলাদেশে খেললে মুক্তিযোদ্ধাতেই খেলবে। বুকোলাকে শেষ পর্যন্ত কোন দল পায়, তা বলা কঠিন।
দেশের প্রায় সব তারকা খেলোয়াড় নিয়ে বড় বাজেটের দল গড়ার পর শেখ জামালের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বিদেশি কোচ দূরের কথা বিদেশি খেলোয়াড়ও আনবে না তারা। দেশের সেরা দুই স্ট্রাইকার এমিলি ও এনামুলকে নেওয়ার পরও বিদেশির দিকে হাত বাড়াল শেখ জামাল। তবে একজনের বেশি বিদেশি আনার পরিকল্পনা দলটির নেই। এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক সার্বিয়ান কোচ জোরান জর্জেভিচের দুই সহকারী কার্লোভিচ ও দাবরকে কোচ হিসেবে ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা আনছে শেখ জামাল।
ইব্রাহিম-সামাদরা এসেছেন: ওমান লিগে খেলা স্ট্রাইকার তুরাম ও ঘানার স্থানীয় লিগে খেলা মিডফিল্ডার ইউসুফ আমিনুকে নিয়ে কাল রাতে ঢাকায় এসেছেন আবাহনীর পুরোনো দুই ঘানাইয়ান সামাদ ইউসুফ (ডিফেন্ডার) ও আউডু ইব্রাহিম (স্ট্রাইকার)। নতুন দুজনকে ট্রায়ালে দেখবে আবাহনী, পছন্দ হলে নিবন্ধন।

No comments

Powered by Blogger.