তাঁদের জন্য পেলে-ম্যারাডোনা

মাথার ওপর দুই হাজার ৩০০ ফুট মাটি; তার ওপর আলো-বাতাস। গত ৫ আগস্ট থেকে পাতালসম দূরত্বের এই খনিতে আটকে আছেন চিলির ৩৩ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করতে আন্তর্জাতিক তত্পরতা শুরু হয়েছে, শুরু হয়েছে এই সংগ্রামী শ্রমিকদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা। কিন্তু সবকিছুর পরও তাঁদের উদ্ধার পেতে আরও মাস তিন-চারেক সময় লাগবে। তত দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকার মনোবল থাকবে তো?
সেটা নিশ্চিত করতেই পেলে-ম্যারাডোনার শরণাপন্ন হয়েছেন এই শ্রমিকদের আত্মীয়স্বজন। না, এই দুই ফুটবল কিংবদন্তি সশরীরের খনিবন্দী শ্রমিকদের সামনে হাজির হচ্ছেন না। পাঠানো হচ্ছে তাঁদের কিছু বাছাই করা ভিডিও ফুটেজ। কারণ চিলির এই মানুষগুলোও লাতিন আমেরিকার আর সবার মতো ফুটবল-ভক্ত।
চিলিতে আটকে পড়া এই শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নাসার পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। বের হয়ে আসার আগ পর্যন্ত শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগের একটি পাইপলাইন তৈরি করা হয়েছে। এই পাইপলাইন দিয়েই শ্রমিকদের জন্য খাবার, ওষুধসহ কিছু বিনোদনের জিনিসপত্র পাঠানো হচ্ছে। পাঠানো হচ্ছে ছোট্ট একটা প্রজেক্টর। সেই প্রজেক্টরেই দেখার জন্য পাঠানো হচ্ছে পেলে, ম্যারাডোনা ও রোনালদিনহোর ভিডিও।
ফুটবলের ক্ষমতাটা আসলেই যেন অসীম!

No comments

Powered by Blogger.