মিয়ানমারে দুই দশক পর প্রথম নির্বাচনের প্রস্তুতি

দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এরই অংশ হিসেবে পার্লামেন্টের জাতীয় ও আঞ্চলিক আসনগুলোর এলাকা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
মিয়ানমারে দুই দশক পর এ বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে জান্তা সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেনি। ২০০৮ সালের সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত।
গৃহবন্দী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। সু চি এবং তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অন্য নেতাদের কারাগারে আটকে রাখায় নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনএলডি।
এনএলডির মুখপাত্র নুয়ান উইন গত বুধবার সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর জানিয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আবার মামলা করার পরিকল্পনা করছে এনএলডি। সু চিকে উদ্ধৃত করে নুয়ান উইন বলেন, ‘সমাজে আইনের শাসন নেই বললেই চলে। আইনের শাসন ছাড়া কোনো ব্যবস্থা সফল হয় না।’ সুচি তাঁকে আরও বলেছেন, ‘এখনো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করায় বোঝাই যাচ্ছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়।’
১৯৯০ সালের নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল এনএলডি। কিন্তু নির্বাচিতদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি সামরিক জান্তা।
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন একটি গণতান্ত্রিক দল জানিয়েছে, তাদের প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ বিষয়ে তারা গত মঙ্গলবার নির্বাচন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান থু ওয়াই জানান, বিশেষ শাখার পুলিশ তাঁর দলের সদস্যদের বাসায় গিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় জানতে এবং তাদের ছবি চাইছে।

No comments

Powered by Blogger.