‘গভীর সংকটে’ ইতালি

টানা সাত ম্যাচ জয়হীন। জয়হীন আসলে তারা ২০১০ সালের এই আট মাসের পুরোটাই। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়েও বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে বিদায়ের কলঙ্ক। ব্যর্থতার তালিকাটা আরেক ধাপ বাড়ল আইভরিকোস্টের কাছে পরাজয়ে। মঙ্গলবারের প্রীতি ম্যাচটি সেই অমঙ্গলবার্তা বয়ে আনার পর নতুন অধিনায়ক ড্যানিয়েল ডি রসি অকপটে স্বীকার করে নিলেন, গভীর সংকটে পড়ে গেছে ইতালির ফুটবল।
‘আমরা সবাই এই একই কথা বলছি—ইতালির ফুটবল আজ গভীর সংকটে। ভাবতে অবাক লাগে ইতালির ভালো ভালো ফুটবলার সব কোথায় হারিয়ে গেল!’ পরাজয়ে অভিষেকের পর অধিনায়ক রসির এই উপলব্ধি।
পরিসংখ্যানও বলছে, আসলেই ইতালির ফুটবল বিপর্যয়ের মধ্যে। ইতালির ফুটবলে এমন খরা সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল, ১৯৫৮-১৯৫৯ সালে। সেবার টানা আট ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি ইতালি। ২০১২ ইউরো বাছাইপর্ব শুরু করার আগে সেই লজ্জার রেকর্ড ভেঙে পড়ার মুখে। ডি রসিও মানছেন, ‘হ্যাঁ, ভয়ংকর একটা বছর যাচ্ছে।’
কিন্তু সংকটের আঁচ পেয়ে তিনি মুষড়ে পড়ছেন না। বরং ভবিষ্যতের পথনকশা দিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার, ‘আমাদের ভালো ফুটবলারদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের সময় দিতে হবে। এবং অবশ্যই প্রথম প্রথম ভুল করলে সেটির তীব্র সমালোচনা করা চলবে না।’
রোমার মিডফিল্ডারের শেষ মন্তব্যটি সম্ভবত গত ম্যাচের কথা ভেবেই। ইতালির নতুন কোচ সিজারে প্রান্দেল্লি একেবারে ঢেলে সাজিয়েছেন দলটি। ৫ খেলোয়াড়ের অভিষেকই হয়েছে ওই ম্যাচে। পালাবদলের এই সময়টায় সবাইকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ করলেন ডি রসি। কারণ তিনি জানেন, মেঘের আড়ালেই হাসে সূর্য, ‘এখনই এ নিয়ে মহা শোরগোল ফেলে দেওয়ার কিছু নেই। আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে, নতুন যুগের এটা মাত্রই সকাল। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার আগে কমপক্ষে দুই বছর সময় এই দলটাকে দিতেই হবে। আমি তাই হতাশ নই। কারণ জানি, পরিস্থিতি এ রকম থাকবে না।’

No comments

Powered by Blogger.