মিরপুরের পুল থেকে সিঙ্গাপুরে

আগামী ১৪-২৬ আগস্ট সিঙ্গাপুরে যুব অলিম্পিক গেমসে পাঠানোর জন্য দুজন সাঁতারুকে নির্বাচন করা হয়েছিল—মাহফুজুর রহমান ও সোনিয়া আক্তার। পরশু আরেকজন সাঁতারুর নাম চায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। সেই একজনকে বেছে নিতে কোনো সমস্যাই হয়নি সাঁতার ফেডারেশনের। বিআরবি কেবলস জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে গত দুই দিনে ৭টি সোনাজয়ী (৫টিই রেকর্ড) কুষ্টিয়ার আমলার সাঁতারু জুয়েল আহমেদের নাম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
খবরটা শুনে দারুণ উচ্ছ্বসিত আমলা সদরপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র জুয়েল, ‘খুবই ভালো লাগছে। আশা করি, যুব অলিম্পিকে ভালো কিছু করতে পারব।’
কাল দ্বিতীয় দিনেও মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল আনসারের হয়ে খেলা জুয়েল। আগের দিন ৩টি (তিনটিই রেকর্ড) সোনা জেতা জুয়েল এদিন আরও ২টি রেকর্ড করেছে—১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ও ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে। তবে ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে ডিসকোয়ালিফাই হওয়ায় হাতছাড়া হয়েছে আরেকটা নিশ্চিত সোনা।
আনসারের মেয়ে নাজমা খাতুনও কম যাচ্ছে না। কাল রেকর্ডসহ ৩টি সোনা জিতেছে আমলা জাহানারা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। নাজমার মোট সোনা ৬টি, সবগুলোতেই রেকর্ড। কাল রেকর্ড করেছে ১০০ মিটার বাটারফ্লাই, ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইল ও ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে। ২০০ মিটার বাটারফ্লাই ও ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে রেকর্ড গড়েছে আনসারের মুসলিমা খাতুন। দিনের শেষ রেকর্ডটি হয়েছে আনসারের রোজিনা খাতুনের, ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে।
৩৩টি সোনা জিতে পদকতালিকায় বিকেএসপিই এগিয়ে। দ্বিতীয় দিনের ৩৪ ইভেন্টের ১৪টি জিতেছে বিকেএসপি। বিকেএসপির সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আনসারের। আগের দিনের ১৪ সোনার পর এদিন ১৭ সোনা জিতেছে আনসার। ঢাকার বাইরে গেছে দুটি সোনা—শিলাইদহ সুইমিং ক্লাব ও মুন্সিগঞ্জ অগ্রযাত্রা সুইমিং ক্লাবে।

No comments

Powered by Blogger.