ঝাড়খণ্ড ও বিহারের অর্থনৈতিক অবস্থান অনুন্নত কঙ্গোর সমপর্যায়ের

যুক্তরাজ্যভিত্তিক অক্সফোর্ড পোভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (ওপিএইচআই) এবং ইউএনডিপি যৌথভাবে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের উন্নয়ন-অনুন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, কেরালা ও গোয়ার অর্থনৈতিক অবস্থান ইন্দোনেশিয়ার মতো মাঝারি আয়ের দেশের সমপর্যায়ে। অন্যদিকে কঙ্গোর মতো অনুন্নত দেশের সমপর্যায়ে আছে ঝাড়খণ্ড ও বিহারের মতো রাজ্যগুলোর অর্থনীতি। এ প্রতিবেদনে রাজ্যগুলোর জনগণের আয়-রোজগারের চিত্রের বাইরে গিয়ে আরও বৃৎ পরিসরে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে বিচার করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এসব রাজ্যের জনগণের সামাজিক অবস্থা, তারা জীবনাচারে কী ধরনের বঞ্চনা ও অসামঞ্জস্যতার মুখোমুখি হচ্ছে ইত্যাদি।
ওপিএইচআইর গবেষকেরা পরবর্তীকালে ভারতের দারিদ্র্য পরিমাপক সূচক (এমপিআই) বিশ্লেষণ করেছে। এখানে ভারতের বিভিন্ন রাষ্ট্রের দারিদ্র্যসূচকের সঙ্গে আরও ১০৩টি উন্নয়নশীল দেশের দারিদ্র্যসূচকের তুলনা করা হয়েছে।
এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে কেরালা অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। কেরালা এমপিআই ০.০৬৫ পেয়ে প্যারাগুয়ে ও ফিলিপাইনের সম-অবস্থানে রয়েছে। এর পরবর্তী অবস্থানে আছে গোয়া। গোয়ার এমপিআই ০.০৯৪ যা কি না ইন্দোনেশিয়ার নিকটবর্তী। পাঞ্জাব মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালার সমতুল্য। একসময় যা হিমাচল প্রদেশের নিকটবর্তী ছিল। অন্যদিকে তামিলনাড়ুর এমপিএ ০.৪১৪, যা ঘানার সমপর্যায়ের। ঘানা পৃথিবীর নিম্ন আয়ভুক্ত একটি দেশ।
ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর উন্নয়নের অবস্থান হাইতির সমপর্যায়ে। উল্লেখ্য, ভূমিকম্পের আগেই হাইতি উত্তর আমেরিকার দরিদ্রতম দেশে পরিণত হয়েছে। আইভরিকোস্টের এমপিআইর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের এমপিআইর তুলনা করা হচ্ছে। ওড়িশা ও শাদের তুলনা করা হচ্ছে তানজানিয়া ও মৌরিতানিয়ার সঙ্গে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রুয়ান্ডা মধ্যপ্রদেশের তুলনায় কম উন্নত। কিন্তু এ দেশগুলো ঝাড়খণ্ড ও বিহারের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.