উড়ছে আজ লালদুর্গের নিশান

বিশ্বকাপ ফুটবলের এই ডামাডোলে টেনিস নিয়ে ভাববার সময় আছে! আছে মানে? ফুটবলের জোয়ারে গা ভাসাতে বিশুদ্ধ টেনিসপ্রেমীদের বয়েই গেছে! নাওয়া-খাওয়া ভুলে তাঁরা বরং বুঁদ হয়ে আছেন কখন শুরু হয় রোলাঁ গাঁরোর লড়াই, সেই অপেক্ষায়।
মঞ্চ প্রস্তুত। নিজ নিজ পরিকল্পনার ছক এঁকে প্যারিসের লালদুর্গে নামতে প্রস্তুত তারকারা। টেনিসপ্রেমীদের এই অপেক্ষায় যতি দিতে আজই শুরু হচ্ছে বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম ফ্রেঞ্চ ওপেন। বছরের চারটি প্রধান টুর্নামেন্টেই বিশেষ হিসাব-নিকাশ সেরে কোর্টে নামেন তারকারা। তবে ফ্রেঞ্চ ওপেনের হিসাবটা একটু অন্যরকম। কারণ মাটির কোর্টের এই টুর্নামেন্টে ফেবারিট-তত্ত্ব বিশ্লেষণে একটু গুলিয়ে ফেলেন বোদ্ধারা।
এবারও যেমন নাদাল নাকি ফেদেরার ফেবারিট, সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি কেউ। ২০০৫-২০০৮, টানা ৪ বছর লালদুর্গে জয়ী রাফায়েল নাদাল। ক্লে-কোর্টের সম্রাট নাদালের কারণেই ২০০৮ পর্যন্ত ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে সর্বকালের সেরার স্বীকৃতি পেয়ে যাওয়া রজার ফেদেরারকে। গতবার দূর হয়েছে তাঁর আক্ষেপ।
আগের বছরের দুঃস্মৃতি ভুলে নাদাল আবার ফিরে পেতে চাইছেন রাজত্ব। শুধু চাওয়া নয়, গত ৪০ দিনে তিন-তিনটি ক্লে-কোর্ট শিরোপা জিতে নিজেকে তৈরিও করে নিয়েছেন সাবেক নাম্বার ওয়ান। নোভাক জোকোভিচ, অ্যান্ডি মারেরাও নামবেন শিরোপার দাবি নিয়ে।
এবার বাড়তি আকর্ষণ যোগ করছেন জাস্টিন হেনিন। তাঁর ৭টি গ্র্যান্ড স্লামের ৪টিই ফ্রেঞ্চ ওপেন। ২০০৮ সালে অভিমানে সরে দাঁড়ানোর পর আবার ফিরেছেন কোর্টে। ফিরে ৫ মাসেই প্রমাণ করেছেন, লালদুর্গ দখলে তিনিও প্রস্তুত। শীর্ষ বাছাই সেরেনা খুব করেই চাইছেন রোলাঁ গাঁরোতে দ্বিতীয় শিরোপা-উত্সবে মাতবেন। কুজনেত্সভা, মারিয়া শারাপোভা, কিম ক্লাইস্টার্স, সার্বিয়ান জাঙ্কোভিচ-ইভানোভিচ, দিনারা সাফিনা, ভেনাস উইলিয়ামস, ক্যারোলিনা ওজনিয়াকি—এঁদের কেউও তো শিরোপা জিততে পারেন!

No comments

Powered by Blogger.