মন কাঁদছে ভিয়ার

মহাকালের স্রোতধারায় পাঁচটা বছর হয়তো নেহাতই একটা ‘মুহূর্ত’। কিন্তু এই গত পাঁচ বছরই ডেভিড ভিয়ার জন্য ছিল অবিস্মরণীয়। এই আধা দশকে ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে যেন জনম জনমের সম্পর্কে বাঁধা পড়েছিলেন। আর তাই ভ্যালেন্সিয়া ছেড়ে বার্সেলোনায় যেতে প্রাণ কাঁদছে এই স্ট্রাইকারের।
‘বন্ধুদের ছেড়ে যেতে আমার হূদয় ভেঙে যাচ্ছে। কিন্তু তার পরও যাচ্ছি। জানি, এতেই ক্লাবের মঙ্গল’—চার কোটি ইউরোতে বার্সায় নাম লেখানো ভিয়া বলেছেন তাঁর বিদায়ী বার্তায়। দেনার দায়ে জর্জরিত ভ্যালেন্সিয়া একরকম বাধ্য হয়েই তাদের সেরা খেলোয়াড়টিকে তুলে দিল স্প্যানিশ লিগ চ্যাম্পিয়নদের হাতে। যে ক্লাবটির ‘আইকন’ হয়ে গিয়েছিল এই ২৮ বছর বয়সী।
স্পেনের এক নম্বর স্ট্রাইকার বলছেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে, ব্যক্তি হিসেবে আমি বেড়ে উঠেছি ভ্যালেন্সিয়াতেই। প্রথম যেদিন ক্লাবটিতে পা রেখেছি, সেদিন থেকেই মনে হয়েছে, এটি আমার ঘর। কোনো সন্দেহ নেই, ভ্যালেন্সিয়া আমার হূদয়ে আজীবন এমনই থাকবে। সবাইকে জানাতে চাই, এই ক্লাবের হয়ে খেলা আমার জন্য ছিল দারুণ গৌরবের, এই ক্লাব আমাকে এত কিছু দিয়েছে, আমি চিরদিন সেটি মনে রাখব।’
ভিয়াকেও নিশ্চয়ই মনে রাখবে ক্লাবটি। এই ভিয়াই ভেলায় চেপেই তো ২০০৮ সালের কোপা ডেল রের শিরোপা জিতেছিল তারা। এবার লিগে তৃতীয় হয়ে নিশ্চিত করেছে আগামী চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা। স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষে আজ বার্সার জার্সি গায়ে ভিলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাজির করা হবে ন্যু ক্যাম্পে। শুরু হয়ে যাবে তাঁর নতুন আরেক অধ্যায়।
এবারের দলবদলের মৌসুমে প্রথম চমকটা বার্সেলোনাই দিয়ে দিল। তাদের দ্বিতীয় চমকের নামটি হতে পারেন সেস ফ্যাবিগ্রাস। তবে আর্সেনাল আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের অধিনায়ককে রেখে দিতে। শুধু ফ্র্যাবিগাস নয়, আরেক স্প্যানিশ ফুটবলার ফার্নান্দো তোরেসের দিকেও নাকি হাত বাড়িয়েছে বার্সেলোনা। ওদিকে রিয়াল মাদ্রিদও চমক দিতে চলেছে। না, আপাতত তাদের চমকটা খেলোয়াড় কিনে নয়, বিক্রি করে। রিয়াল নাকি চেলসির কাছে বেচে দিচ্ছে ব্রাজিল তারকা কাকাকে। বিনিময়ে চেলসি থেকে রিয়াল চাইছে অ্যাশলি কোলকে।

No comments

Powered by Blogger.