ভুয়া সনদের জোরে

জাল সনদ ও নম্বরপত্রের জোরে ভালোই চালিয়ে যাচ্ছিলেন অ্যাডাম হুইলার (২৩)। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার এমন সব কাগজপত্র তিনি তৈরি করেন, যেন তাঁর মতো ভালো ছাত্র আর হয় না। এই ছলচাতুরির জোরে খ্যাতনামা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ৪৫ হাজার ডলারের বৃত্তিও আদায় করে নেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। একজন শিক্ষকের সন্দেহ ঠিকই তাঁর জোচ্চুরি ফাঁস করেছে। প্রকাশ করেছে সত্য। পরিচয় জাল করা, চুরি ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। নিউইয়র্ক পোস্ট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।
২০০৭ সালে হার্ভার্ডে ভর্তি হন অ্যাডাম হুইলার। ভর্তির সময় আবেদনপত্রের সঙ্গে তিনি যেসব প্রাতিষ্ঠানিক সনদপত্র জমা দেন, সেসব কাগজ তাঁকে অ্যানডোভারের ফিলিপস একাডেমির একজন কৃতী ছাত্র হিসেবে তুলে ধরে। আসলে এসব কাগজ ছিল ভুয়া। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ছাত্র হিসেবে তিনি যেসব কাগজ জমা দেন, এতেও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হুইলারের প্রতারণার ঘটনা এটাই প্রথম নয়, ২০০৭ সালে অসততার অভিযোগে মেইনের বাউডোইন কলেজ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। অথচ তিনি হার্ভার্ডে ভর্তির ব্যাপারে বাউডোইনের অধ্যাপকদের সুপারিশ দাখিল করেন, যা ছিল তাঁরই বানানো।
ভুয়া সনদের বলে কৃতী ছাত্র সেজে হার্ভার্ড থেকে বিভিন্ন গবেষণার জন্য বৃত্তি হিসেবে ১৪ হাজার ডলার পান।

No comments

Powered by Blogger.