রহমতগঞ্জে আটকাল শেখ রাসেল

শেষ বাঁশি বাজতেই রহমতগঞ্জের ডাগআউট থেকে ছুটে এলেন সাইড বেঞ্চে বসে থাকা অতিরিক্ত খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। আনন্দে জড়িয়ে ধরলেন মাঠের খেলোয়াড়দের। এক পাশে তখন অভিনন্দন নিতে ব্যস্ত কোচ কামাল বাবু। তাঁর চোখের কোণে চিকচিক করছিল আনন্দাশ্রু। না, জেতেনি রহমতগঞ্জ। তবে শেখ রাসেলের সঙ্গে ড্র-ই (১-১) যে তাদের কাছে জয়ের সমান।
বক্সের মধ্যে রাজনের পাস থেকে মরক্কান স্ট্রাইকার সালাহ মাসলুর গোলে ১৬ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল রাসেল। ৬৬ মিনিটে নাঈমুরের গোলে সমতা এনেছিল রহমতগঞ্জ। ৮৭ মিনিটের সময় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে এই নাঈমুরই মাঠ ছাড়লে শেষ কয়েক মিনিট ১০ জনকে নিয়েই খেলতে হয়েছে রহমতগঞ্জকে।
কাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের এই ম্যাচে অন্য একটা লড়াইও ছিল। বাংলাদেশ লিগের প্রথম পর্বে তিন ম্যাচ পর শেখ রাসেল থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন কোচ কামাল বাবু। দ্বিতীয় পর্বে তুলনামূলকভাবে অনেক শক্তিশালী শেখ রাসেলকে আটকে দেওয়াটা তাই তাঁর কাছে একটু বেশিই মধুর লাগার কথা। কামাল বাবু অবশ্য ব্যাপারটাকে বড় করে দেখাতে চাইলেন না, ‘বিশ্বের সব কোচই পেশাদার। আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এখানে প্রতিশোধের কিছু নেই। তবে শেখ রাসেলের সঙ্গে ড্র করে অবশ্যই খুশি আমি।’ শেখ রাসেলের কোচ মাহমুদুল হক খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুবই হতাশ, ‘আজ ছেলেরা অনেক সুযোগ মিস করেছে। এই ম্যাচে আমাদের জেতা উচিত ছিল। বাজে একটা দিন গেল আমাদের।’
কামাল দায়িত্ব নেওয়ার সময় রহমতগঞ্জের পয়েন্ট ছিল ৭ খেলায় ২। দায়িত্ব নেওয়ার পর ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট। দলকে তুলে এনেছেন চতুর্থ স্থানে। কালকের ড্রয়ের পরও অবশ্য ১৭ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানেই থাকল শেখ রাসেল। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরই পুরোনো ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ।

No comments

Powered by Blogger.