নতুন কিরগিজ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

কিরগিজস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট কুরমানবেক বাকিয়েভের সমর্থকেরা নতুন সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। গতকাল সোমবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সমবেত হন বাকিয়েভের শত শত সমর্থক। এদিকে কাজাখস্তানের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাকিয়েভ ওই দেশ ত্যাগ করেছেন।
সরকারবিরোধী সহিংস আন্দোলনের মুখে গত ৭ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভ পালিয়ে যান। কয়েক দিনের গোলযোগের পর তিনি কাজাখস্তানে নির্বাসনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
বাকিয়েভ পালিয়ে যাওয়ার পর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোজা ওতুনবায়েভার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। নতুন সরকার বলেছে, সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী গোটা দেশ নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভের শক্ত ঘাঁটিতে অস্থিতিশীলতা সরকারের কর্তৃত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
সপ্তাহান্তে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদে আঞ্চলিক সরকারের কার্যালয় দখল করে নেন বাকিয়েভের সমর্থকেরা। গতকাল সকালে শহরের কেন্দ্রস্থলে সমবেত হন প্রায় দেড় হাজার সমর্থক।
সমবেত সমর্থকেরা স্লোগান দেন, ‘বাকিয়েভ আমাদের বৈধ প্রেসিডেন্ট।’ বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ছিল ব্যানার। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ক্ষমতা দখল করার জন্য বিরোধীরা রক্তপাত ঘটিয়েছে।’
এক খবরে বলা হয়েছে, জালালাবাদে আঞ্চলিক সরকারের কার্যালয়ে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। বাকিয়েভের সমর্থকেরা মুক্তভাবে কার্যালয়ে ঢুকেছেন আর বের হয়েছেন। তবে সার্বিক পরিস্থিতি ছিল শান্তিপূর্ণ।
ওতুনবায়েভার নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গৃহযুদ্ধ এড়ানোর জন্য তারা বাকিয়েভকে পালাতে দিয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলে শক্তি প্রয়োগ করা হবে না বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার বলেছে, পরবর্তী ছয় মাস সংবিধান সংস্কার ও অবাধ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতির দিকে মনোযোগ থাকবে।
কিরগিজস্তানে অস্থিতিশীলতা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয় দেশের জন্যই উদ্বেগের বিষয়। কারণ সাবেক এই সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রে উভয় দেশেরই সামরিক বিমানঘাঁটি রয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কুরমানবেক বাকিয়েভ কাজাখস্তানে পালিয়ে যান। তবে বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, তা পরিষ্কার নয়।

No comments

Powered by Blogger.