অলিচের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে বায়ার্ন

ইভিচা অলিচ নন, বায়ার্ন মিউনিখের বড় নাম আরিয়েন রোবেন। জার্মানির পত্রপত্রিকায় বন্দনা রোবেনকে ঘিরেই। কেউ কেউ তো তাঁকে অ্যাখ্যা দিয়েছেন বায়ার্নের ‘মেসিয়া (ত্রানকর্তা)’ বলে। তবে কাল আসল কাজটি কিন্তু করে দিয়েছেন ইভিচা অলিচই। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে হ্যাটট্রিক করলেন । তাঁর সেই হ্যাটট্রিকে লিওঁকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে গেছে বায়ার্ন। আগামী ২২ মে রিয়াল মাদ্রিদের স্টেডিয়াম সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ফাইনালে বায়ার্নের প্রতিপক্ষ হবে বার্সেলোনা বা ইন্টার মিলানের একটি।
বায়ার্নের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনা থেকে ০-১ গোলে হেরে আসা লিওঁ কাল নিজেদের মাঠে নেমেছিল কঠিন প্রত্যয় নিয়ে। কোচ ক্লদ পুয়েল হুমকিই দিয়ে রেখেছিলেন—প্রশ্ন যখন জয়ের, লিওঁ তখন বুক চিতিয়ে লড়তে জানে; প্রতিপক্ষ যত বড় নামই হোক না কেন। বুক চিতিয়ে লড়াই করার এই প্রতিশ্রতিতটা মাত্র মিনিট দুই-ই রাখতে পেরেছে পুয়েলের দল। শুরুর ওই মিনিট দুই বাদ দিলে লিওঁর মাঠে প্রায় পুরোটা সময় দাপিয়ে বেড়িয়েছে পরাক্রমশালী বায়ার্ন। চারবারের ইউরোপ সেরারা প্রথম গোল পায় ২৬ মিনিটে। গোলদাতা ইভিচা অলিচ। গত কয়েক ম্যাচ ধরে যিনি হয়ে গেছেন বায়ার্নের ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার প্রতীক। কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুই লেগেই গোল করেছেন তিনি। গোল করেছেন বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের সর্বশেষ ম্যাচেও। প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় নিয়ন্ত্রণ করলেও আর গোল পায়নি বায়ার্ন। ৬৭ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন অলিচ। আর হ্যাটট্রিক গোলটি করেন এর ঠিক ১১ মিনিট পর।

No comments

Powered by Blogger.