বড়দের প্রতি আফগান-হুমকি

আইসিসির স্বীকৃতি পেয়েছে তারা ২০০১ সালে। দুই বছরও হয়নি, ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ ডিভিশন ফাইভে জার্মানি, নরওয়ে, ভানুয়াতুর মতো দেশগুলোর সঙ্গে খেলত। সেই আফগানিস্তানই এখন প্রস্তুত হচ্ছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য। মাঠে নামা মানে স্রেফ অভিজ্ঞতা অর্জন নয়। প্রতিষ্ঠিত দুই শক্তিকে চমকে দেওয়ার বাসনা নিয়েই তারা যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
ক্রিকেট এখন আফগানিস্তানে বিশাল এক উন্মাদনার নাম। ২০০৮ সালেও ডিভিশন ফাইভে খেলা দেশটি ডিভিশন ফোর, থ্রি হয়ে তরতর করে এগিয়ে গেছে। অল্পের জন্য ২০১১ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগটা হাতছাড়া করেছে, তবে আয়ারল্যান্ড, আরব আমিরাতের মতো দেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। উন্মাদনার শুরু মূলত বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পর থেকেই। রাইফেল, মেশিনগান আর গেরিলা পোশাক ছেড়ে ব্যাট-বল হাতে ক্রিকেটের পোশাকে কোচদের কাছে ছুটছে তরুণেরা। দলের সাফল্য আর এই উন্মাদনা দেখে ক্রিকেটের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকারও। জাতীয় দলের জন্য বছরে ৫ লাখ ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়, মাসে ৩০০ ডলার বেতন পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। একটি ক্রিকেট একাডেমিও হয়েছে, যেখানে আছে শ-খানেক ছাত্র।
এই উন্মাদনাই আরও প্রেরণা জোগাচ্ছে আফগান ক্রিকেটারদের। কোনো রাখঢাক না রেখেই ভারতকে হারানোর লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন দলের কোচ, সাবেক পাকিস্তানি পেসার কবির খান, ‘ভারতের বিপক্ষে খেলা নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত। ওদের জন্য কাজটা আমরা কঠিন করে তুলব। আশা করছি, অঘটনও ঘটাতে পারব।’ প্রত্যাশার চাপ না থাকাটাকেই নিজেদের বড় শক্তি বলে মনে করেন দলের অলরাউন্ডার আসগর স্টানিকজাই।

No comments

Powered by Blogger.